নিজস্ব প্রতিবেদক- বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলির দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর)দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নুর এ আদেশ দেন। এই মামলার প্রতিবেদনের জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য আছে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার দেখানোর এ আবেদন করেছিলেন।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর সুমনা আক্তার লিলি সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর ৭১ টেলিভিশনের লাইভ টেলিকনফারেন্সে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে তাকে ‘চরিত্রহীন’ বলেন। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। এরপর তিনি গত ১৮ অক্টোবর ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেছেন, শুধু তিনি (মইনুল) চরিত্রহীন বলছেন না, আরো অনেক মানুষ তাকে চরিত্রহীন বলছেন। তার ওই সমস্ত বক্তব্য দেশের সমস্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এবং পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই মানহানিকর চরিত্রহীন বক্তব্যে শুধু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি ঘটে নাই। একজন নারী হিসেবে বাদিনীরও মানহানি ঘটেছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯(২) ধারার অপরাধ পড়ে।
উল্লেখ, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলা নিয়ে মানহানির অভিযোগে এর আগে ১০টির বেশি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রথম মামলা এটি।
অপর মামলাগুলোর মধ্যে মাসুদা ভাট্টি নিজে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলা করেছেন। রংপুরে হওয়া একটি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গত ২২ অক্টোবর গ্রেফতারের পর গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।