নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৮ : যশোরে স্ত্রীকে ভারতে পাচারের দায়ে স্বামী সোহাগ হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও মানব পাচার ট্রাইবুনালের বিচারক অমিত কুমার দে এক রায়ে এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সোহাগ হোসেন নড়াইলের কালিয়া থানার হাড়িয়া ঘোপ গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে ও শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার আব্দুল মজিদের বাড়ির তৎকালীন ভাড়াটিয়া।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ৭ জুলাই যশোর সদর উপজেলার নালিয়া গ্রামের আব্দুর রজ্জাক বিশ্বাসের মেয়েকে সোহাগ হোসেন বিয়ে করে। এরপর সে শহরতলীর শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করে। এরপর সোহাগ তার স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে চাকরি করবে বলে তার শ্বশুরকে জানায়। সোহাগের শ্বশুরবাড়ির কেউ রাজি না হওয়ায় সে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা। এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরে একটি অভিযোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক।
রাইটস যশোর ভারতের সেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রিতম ফার্ম সংগঠনের সহায়তায় ৭ মে মুম্বায়ের পুনা শহরের একটি পতিতাপল্লী থেকে সোহাগের স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে একটি মামলাও করা হয়।
এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।