1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

ধর্ষিতা পেল ৪৫ হাজার, ৫৫ হাজার মাতবরদের মধ্যে ভাগাভাগি

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮

নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,মঙ্গলবার,১৭ জুলাই ২০১৮: ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক লাখ টাকা জরিমানা ও ধর্ষিতার গর্ভপাত ঘটানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে একটি ধর্ষণ ঘটনার বিচার করা হয়েছে সালিশে। গত রোববার গভীর রাতে ও গতকাল সোমবার সকালে দুই দফা সালিশে এ বিচারকার্য সারেন দুই ইউপি মেম্বারসহ মাতবররা। পরে জরিমানার ৫৫ হাজার টাকা মাতবরদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের হালিউড়া গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মো. জুনায়েদ আহম্মেদ (১৮)। এ অবস্থায় প্রায় রাতেই ওই কিশোরীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করত জুনায়েদ। গত রোববার রাত ১২টার দিকে জুনায়েদ মেয়েটির বসতঘরে অবস্থানের সময় মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ‘আজই বিয়ে করতে হবে’ বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে জুনায়েদ রাজি না হয়ে কেটে পড়ার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরের ভেতর বেঁধে রেখে এলাকার লোকজনকে খবর দেয়। রাতে এ নিয়ে এক সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত প্রায় চার মাস ধরে জুনায়েদ তাকে ধর্ষণ করছে। এ অবস্থায় সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। মেয়ের জবানবন্দি অনুসারে সালিশে বিয়ের সিদ্ধান্ত হলে ছেলেপক্ষ বেঁকে বসে।

পরদিন সকালে ফের এলাকায় সালিশের আয়োজন করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আফির উদ্দিন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুছ ছাত্তার, সাবেক সদস্য ফরিদ উদ্দিন, মিলন মিয়া ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাসিম উদ্দিনসহ ১০-১২ জন। উপস্থিত অনেকেই জানান, সালিশে সিদ্ধান্ত হয়—মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় রেখে গর্ভপাত ঘটানো এবং ছেলেপক্ষকে মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা করে এক লাখ টাকা নগদ দিতে হবে। পরে গতকাল দুপুরের পর ছেলেপক্ষের লোকজন এক লাখ টাকা পরিশোধ করলে অভিযুক্ত জুনায়েদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেয়েটিকে পাশের গফরগাঁও উপজেলার হাসপাতালের কাছে একটি প্যাথলজি সেন্টারে নিয়ে গর্ভপাত করানো হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সালিশে নেতৃত্বদানকারী ইউপি সদস্য আফির উদ্দিন বলেন, ‘তিনি সালিশের আয়োজন করেননি। দুই পক্ষের অনুরোধে কয়েকজন মিলে সমাঝোতা করে দিয়েছে। কিভাবে সমাঝোতা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুনেছি ৩৫-৪০ হাজার টাকা মেয়েপক্ষকে দিতে হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি আর জানেন না। আরেক সালিশকারী মেম্বার মিলন বলেন, ‘আমি রাতের সালিশে ছিলাম। সেখানে আমি বিয়ের কথা বললে ছেলেপক্ষ রাজি না হওয়ায় চলে এসেছিলাম। পরের অবস্থা আমার জানা নেই।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সালিশের এক লাখ টাকার মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা মেয়ের বাবাকে দিলেও ৫৫ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত যুবক জুনায়েদের বাবা মো. আবুল কালাম জানান, তাঁর ছেলেকে রাতভর বেঁধে রেখে মারধর করে মেয়ের পক্ষের লোকজন। পরে কিভাবে কী করেছে তা তিনি জানেন না। তবে টাকার বিনিময়ে ছাড়া হয়েছে, তা জানতে পেরেছেন বলে জানান।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD