শ্রী অরবিন্দ ধর,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৮: ‘কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বই বিক্রি একটি দুর্নীতি। আসুন, এর বিরুদ্ধে আমরা একতাবদ্ধ হই’ শিরোনামে নেত্রকোণায় মানববন্ধন হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরাল ভবনের সমনের সড়কে সচেতন নাগরিক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্তত আটটি ব্যানার নিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।
বেসরকারি সংস্থা স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক নারীনেত্রী বেগম রোকেয়ার সভাপতিত্বে ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আমজাদ খানের পরিচালনায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়ালী উল্লাহ, উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান খান, সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইয়ুব আলী, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মুক্তিযুদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান, সিংহের বাংলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহিম, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম, রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, জাহানারা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মারুফা আক্তার, সাংবাদিক আলপনা বেগম, শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা, আলমগীর হোসেন, সুমাইয়া আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে জেলা দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বেগম রোকেয়া বলেন, ‘কোচিং ও গাইড বই বিক্রি বাণিজ্য শুধু দুর্নীতি নয়, অনেক দুর্নীতির উৎসও। কোচিং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। এ জাতীয় দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক ঐক্যবদ্ধ হলে নেত্রকোণায় কোচিং বাণিজ্য ও গাইড বই বিক্রি অবশ্যই বন্ধ করা সম্ভব হবে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামানা করেন।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম বলেন, শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো দিন দিন কোচিং সেন্টার গড়ে ওঠছে। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোন নজর দিচ্ছে না। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়ে ওই সময়ে কোচিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা বলেন, শহরে একটি কোচিং সেন্টারের মালিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও অন্য একজনকে নামমাত্র সামনে রেখে কোচিং বাণিজ্য করে অল্প দিনেই কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছেন। অথচ প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। বক্তরা স্কুল-কলেজ চলাকালীন সময়ে কোচিং বন্ধ রাখার দাবি জানান।