তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের পরে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ২৯টা বছর বাংলাদেশে শাসনের নামে শোষণ করেছে। দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য কিছুই করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের অসহায় মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করেছেন। মানবতার মা হয়ে মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।’
মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী নাটোরের সিংড়ায় গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ মাঠে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ১১ হাজার ২৪৩ জন সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের খোঁজ নিতে। বয়স্ক ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ওই ভাতা দিয়ে ওষুধসহ হাত খরচের ব্যয় নির্বাহ করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের বাবাকে হারিয়ে দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের মাঝে বাবাকে খুঁজে পান। প্রতিমাসে ৫৫০ টাকার ভাতা বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তদের জন্যে বেঁচে থাকার অবলম্বন। এটা তাদেরকে আত্মসম্মান দিয়েছে। সরকারের প্রণীত সুরক্ষা আইন, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী বৃত্তির কারণে প্রতিবন্ধীরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়, বাবা-মায়ের কষ্ট নয়। এসব সুবিধা ছাড়াও সকল পরিবহন এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে তাদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশে কোনো পরিবারকে আর আশ্রয়হীন থাকতে হচ্ছে না, সকল ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বাড়ি দেয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো এখন উন্নয়নের মুখরিত জনপদ। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের জীবনমান উন্নয়নে সর রকমের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। অথচ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে দেশকে ২৯ বছর ধরে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখর আর কাউকে সারের জন্যে জীবন দিতে হয় না, বিদ্যুতের জন্যে হাহাকার নেই। সাধারণ মানুষের জীবন এখন স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সুরক্ষিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। কোনো রকমের অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। উন্নয়নের ধারা এবং সুশাসনকে অব্যাহত রাখতে আবারও শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এর আগে প্রতিমন্ত্রী শেরকোল থেকে চৌগ্রমাম পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার ও চৌগ্রাম থেকে নাটোরের শেষ সীমানা পর্যন্ত ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ কিলোমিটার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে ৪ লেন কাজের ভিত্তি প্রস্তরের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ডালিম আহমেদ ডন, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।