ইউরোপ? বাংলাদেশীদের কাছে একটি স্বপ্নের নাম। যে স্বপ্নের জন্য একাংশ বাঙ্গালিরা বৈধ বা অবৈধ পথে পাড়ি দিয়ে স্বপ্নকে জয় করতে চায়। কিন্ত এই স্বপ্নকে জয় করতে মেধার কোন বিকল্প নেই। যে মেধাশক্তি একজন বাঙ্গালি বা বাংলাদেশীকে সম্মানি করে গড়ে তুলে।
চলতি বছর এই মেধাশক্তির কারনে ১৩৯ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ইরাসমাস মুন্ডাস যৌথ মাস্টার্স প্রোগ্রামে বৃত্তি পেয়েছেন। তার মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী ফ্রান্সে এসেছেন।
জানাযায় ইরাসমাস মুন্ডাস ইউরোপে পড়াশোনার জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি বৃত্তি কার্যক্রম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিনে এই বৃত্তি পরিচালনা করা হচ্ছে। ১৩০টির বেশি মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে উচ্চতর শিক্ষার মান রক্ষায় একাডেমিক জনগণ ও সংস্কৃতির মধ্যে যোগাযোগ এবং বোঝাপড়া উন্নতিকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। তারা ইউরোপের দুটি দেশে যৌথ মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য পড়া-লেখার সুবিধা দেয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামে উল্লেখযোগ্য হলো কৃষি ও ভেটেরিনারি, প্রকৌশল, উৎপাদন ও নির্মাণ, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, মানবিক ও কলা, বিজ্ঞান, গণিত ও গণনা, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায়, আইন বিষয় ইত্যাদি।
সূত্রজানায় ইউরোপের ইরাসমাস মুন্ডাস ২০১৯ সালে ৭৮ জন ও ২০২০ সালে ১১১ জন এবং ২০২১ সালে ১৩৯জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে। ফ্রান্সের শাহ গ্রুপের চেয়াম্যান সাত্তার আলী সুমন (শাহ আলম) জানান বাংলাদেশী মেধাবী শিক্ষার্থীরা ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। তারা বাংলাদেশর মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন।
যারা ফ্রান্সে এসেছেন আমাদের কমিউনিটির পক্ষ থেকে নবাগত শির্ক্ষাথীদেরকে অভিন্দন জানাই।
এদিকে নবাগতদের অজানা-অচেনা একটা নতুন দেশে নানান সমস্যায় পড়তে হয়। যারা নিজ দেশ থেকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়েও ভাষাগত সমস্যা, আবাসন সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। এব্যাপারে বাংলাদেশ কমিউনিটি ফ্রান্স (বিসিএফ) বাংলাদেশী শির্ক্ষাথীদের সমন্বয়ে নবাগত বাংলাদেশী শির্ক্ষাথীদের সহযোগীতা করার জন্য একটা ‘‘উইংস টিম‘‘ গঠন করার পরিকল্পনার কথা জানাযায়।
নামপ্রকাশে অনিশ্চূক জানান ফ্রান্সে নতুন আসা ৪১ জনের মধ্যে একজনের সাথে আমার দেখা হয়েছে। তিনি আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু, বাংলাদেশে তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করেছে, সেই সুবাদে পারিবারিক ভাবে আমার সাথে তার (শির্ক্ষাথীর) যোগাযোগ হয়। সে ফ্রান্সে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে এসেছে। তাকে প্রাথমিক সহযোগীতা করেছি। ইতিমধ্যে তাকে (শির্ক্ষাথী) ইউনিভার্সিটির হলে দিয়ে এসেছি।
সর্বোপরি এই সকল মেধাবীরা দেশ ও জাতির উন্নতিসাধনের জন্য অগ্রনি ভুমিকা রাখবেন এবং দেশের জন্য সম্মান ভয়ে আনবেন বলে সচেতন মহল মনে করছেন।