এইচ. জেড. তালুকদার, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, গোপালগঞ্জ : আমার নাম শুনলেই বিভিন্নস্থরের শ্রেনীর ও পেশার কিছু লোকজন হায়েনা/কুকুরের মতো ঘেউ-ঘেউ করে ওঠে, নানা রকম মন্তব্য আর বাদ-প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ভালো সাজানো গোছানো একটি কাজ বা পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়, সরকারকেও কুমন্ত্রনা দেয় আর বিকৃত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এইসব মানুষ নামের জন্তুরা কোন জগতের প্রানী আর তারা আসলে কি উদ্দ্যেশ্যে তারা এসব করে এখনো বুঝে উঠতে পারি নি। তাদের কাংখিত লক্ষ্য কি পুরন হয়েছে? তারা তা চেয়েছিল তাই কি পেয়েছে। যদি এতো বৎসরে তাদের লক্ষ্য পুরন হয়ে থাকে, তারা তা চেয়েছিল তাই পেয়ে গিয়ে থাকে (কারন তাদের অনেক সময় ও সুযোগ দেয়া হয়েছে) তবে আমি এবার ধীরে ধীরে গুটি থেকে বের হতে চাই কারন ষড়যন্ত্রকারীদের বারবার প্রতিবাদে আমি পিছু হটতে বাধ্য হয়েছি আর তারাও কি উদ্ধার করেছে তাও আমার জ্ঞানের অতীত হয়েছে। তাই আমার যা ক্ষতি হয়েছে তাতো হয়েছে, তা বললে তো আর কেউ পুরন করে দিতে পারবে না, বরঞ্চ আবার নতুন করে শুরু করবার কথা বলি, কাজের কথা বলি। আমি এখন আবার গবেষনা ও সাহিত্য কর্মে যোগদান করতে চাই, গবেষনা এবং ইতিহাস সাহিত্য ও নতুন নতুন জ্ঞান তৈরীর বিষয়ক কাজ।
দীর্ঘদিন আমি তো এসব গবেষনামুলক লেখালেখি বন্ধ রেখেছিলাম আর তাতে যদি দেশ ও জাতি এবং মানুষের মঙ্গল হতো তাতেও না হয় একটা ইতিবাচক বিষয় হতো কিন্তু তাতো হয় নি! তাই বোঝা গেল এমন কর্ম চালিয়ে যাবার জন্য যেকোন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা অব্যাহত রাখা এবং কাজ করে যেতে পারার সক্ষমতা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপুর্ন। আমাকে নির্ভর করে সরকার কোন কাজ, কর্মসূচী, গবেষনা প্রকল্প সৃষ্টি করলে অতঃপর আমাকেই যদি সরিয়ে দেয় তাহলে আর কি বাকী থাকলো! আমার ঐ কাজ কে করবে? যাই হোক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষনার জন্য সরকারের কাছে ব্যাক্তিগত/একক আর্থিক অনুদান চাই আর সেই গবেষনার ফলাফল হবে সাহিত্য কর্ম ও ডকুমেন্টেশন। এখন বাদবাকি সরকারের সিদ্ধান্ত। কারন দীর্ঘ অনেক বৎসরেরর গবেষনা এবং সাহিত্য ও ডকুমেন্টেশন তৈরীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আমার আছে, এবং আমার কাজের গুনগত মান সম্পর্কেও সচেতন যেকোন ব্যাক্তির জানা রয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানের ও বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং সবসময়ই মানসম্মত ও গ্রহনযোগ্য।
সুতরাং বাংলাদেশ সরকার যদি আমাকে “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষনা” এর জন্য একজন উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যাক্তি বিবেচনা করে তবে আমাকে এই বিষয়ে ব্যাক্তিগত ও একক আর্থিক অনুদান প্রদান করতে এই প্রস্তাবনা নিবেদন করছি।
লেখক – গবেষক ও সাংবাদিক। আমিরিকান স্ট্রীট পশ্চিম বড়ভাটরা, ইউনিয়ন- ননীক্ষীর, উপজেলা- মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ – ৭৯১১।