ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, সারা বাংলাদেশে যেখানে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে এটাতো বুঝাই যাচ্ছে এটি পরিকল্পিতভাবে এই হামলাগুলো করা হচ্ছে। সব জায়গায়ই চিহ্নত করা হয়েছে অপরাধী কারা। সরকার অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
বিদেশী শক্তি এই ঘটনার সাথে জড়িত কিনা তা তদন্তের বিষয়, তবে বিদেশে বসে কোন কোন অপশক্তির ধারক ও বাহকরা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে এটিতো খুব স্পষ্ট। তাদের বিভিন্ন ধরনের কথাও বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই কারা এই অপশক্তি, কারা ২০১৩ সালে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, কারা আজকেও একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়-যারা রাজনীতি করে না, অপরাজনীতি করে এটি অবশ্যই তাদের কাজ। কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে কেউ যেন দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে।
মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হামলার শিকার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার শ্রী শ্রী রাজ ল²ী নারায়ণ জিউড় আখড়া ও রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে যেখানে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে এটাতো বুঝাই যাচ্ছে এটি পরিকল্পিতভাবে এই হামলাগুলো করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই প্রায় চিহ্নত করা হয়েছে অপরাধী কারা বা কারা জড়িত। এর পেছনে কারা। সরকার অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাইনুদ্দীন, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান এক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ্য রোটা. আহসান হাবিব অরুন, অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। পরে মন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জ ত্যাগ করেন।