1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১০:০২ অপরাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

মহেশপুরে একটি ব্রীজের জন্য ১০ গ্রামের মানুষকে ঘুরতে হয় ১২-১৩ মাইল!

বর্তমানকন্ঠ ডটকম ।
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

ঝিনাইদহের মহেশপুরে একটি ব্রীজের জন্য ১০ গ্রামের মানুষকে ১২-১৩ মাইল ঘুরে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। একই ব্রীজের এক পাশের মানুষদের অন্য পাশ থেকে কৃষিপন্য আনতে চরম কষ্ট ভোগ করতে হয়। ব্রীজটির অবস্থান ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা কুদলা নদীতে। নদীর পূর্ব পাশে মাটিলা, লেবুতলা, যাদবপুর ও কানাইডাঙ্গা। পশ্চিম পাশে রয়েছে মকরধ্বজপুর, দরবেশপুর, রুলি, বৈরবা, মোমিনতলা, গোপালপুর, কুটিপাড়া, বাশবাড়িয়া, সামান্তাসহ প্রায় ১০টি গ্রাম। আর দক্ষিণে সামান্য দূরেই ভারতীয় সীমান্ত রেখা। তবে ব্রিটিশ শাসনামলে এখানে একটি পাকা ব্রীজ ছিল। এই ব্রীজের সূত্র ধরেই নদীর দু’পাড়ের মানুষের মধ্যে কৃষি ও ব্যবসা বানিজ্য গড়ে উঠে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের আগেই ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়।

ফলে নদী পাড়ের দু’পাশের মানুষ দূর্ভোগে পড়ে। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরে এখানে ব্রীজ না হওয়ায় নদী পাড়ের মাটিলা গ্রামের কয়েকটি পরিবার অপর পাশে থাকা প্রায় দুইশত বিঘা জমি বিক্রি করে দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে দুই পাশের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ বাঁশের সাকো। আর সুষ্ক মৌসুমে হেটে পানি পার হয়ে তাদের প্রয়োজনী কাজ করতে হয়।

ব্রীজের পূর্ব পাশের গ্রাম মাটিলার বাসিন্দা বয়বৃদ্ধ ওয়াজেদ আলী জানান, আমাদের গ্রামের তরফদার পরিবারের নদীর ওই পাশে একশত বিঘা জমি ছিল কিন্তু চাষ করার পর বাড়িতে আনতে অসুবিধার কারণে সে সব জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। নদীর পশ্চিমপাশে মাত্র চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে রুলি মাধ্যমিক স্কুল ও শহিদুল ইসলাম কলেজ এবং ফাজিল মাদরাসা রয়েছে। যেখানে আমাদের এলাকার ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করে। বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের প্রায় ১২ কিলোমিটার ঘুরে স্কুল কলেজে যেতে হয়।

ব্রীজের পশ্চিম পাশের গ্রাম মকরধ্বজপুর গ্রামের বাসিন্দা খেলাফত মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন ও হবিবর রহমান জানান, ব্রীজটি করা একান্ত প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুমে দু’পাশের মানুষের কোন যোগাযোগ থাকে না। ফলে লেখাপড়া, কৃষি ও ব্যবসা বানিজ্যসহ সকল কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা যাদবপুর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম শাহীদুল ইসলাম নদী পাড়ের মানুষের দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, ব্রীজটি করার জন্য প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

মহেশপুর ৫৮বিজিবি’র মাটিলা ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার সোহরাব হোসেন জানান, কোদলা নদীর প্রস্তাবিত এই ব্রীজটির পূর্ব পাশে অবস্থিত মাটিলা বিজিবি ক্যাম্প। নদীর পার হয়ে ও পাশে (পশ্চিম) আমাদের আরো তিন কিলোমিটার পর্যন্ত মাটিলা বিওপির আওতায় রয়েছে। যখন নদীতে পানি থাকে, তখন নদীর পশ্চিম পাশে কোন সমস্য হলে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে ঘটনাস্থলে যেতে হয়।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ব্রীজটি না হওয়ায় কয়েক গ্রামের মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই তাদের দূর্ভোগ বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে আমরা ব্রীজটি তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD