খন্দকার শাহিন,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮: নরসিংদীর মাধবদীতে পারিবারিক কলহ ও অভাবের তাড়নায় নিজের পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে হত্যা করে দুই বছরের আরেক শিশু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক পাষণ্ড পিতা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাষণ্ড পিতা শফিকুল ইসলামকে (৩৬) আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, মাধবদী থানার কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী গ্রামে শশুর বাড়িতে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতো শরিয়তপুরের শফিকুল ইসলাম। সে স্থানীয় টেক্সটাইল মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। তবে কাজে মনযোগ না থাকায় তার সংসারে অভাব ও পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এই যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পেতেই নিজের কন্যা সন্তানদের হত্যা করে বলে দাবি ঘাতক পিতা শফিকুলের।
শফিকুলের স্ত্রী রোকসানা জানান, ৩০ জানুয়ারি রাত ৯টায় শফিকুল তাদের বাড়ির একটি ঘরে তাদের পাঁচ বছরের শিশু কন্যা চুমকিকে গলায় রশি দিয়ে হত্যা করে। পরে দ্বিতীয় কন্যা লাবণীকে হত্যা করতে চাইলে তার আর্তচিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় সে লাবণীকে পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ নিহত চুমকির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঘাতক শফিকুল ইসলামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার ছাতিয়ানী গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত জামাল রাঢ়ী।
মাধবদী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে শফিকুল তার এক কন্যাকে হত্যা করে আরেক কন্যাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের মামা আশাবুদ্দীন বাদী হয়ে মাধবদী থানায় একটি মামলা করেন।