মুন্সীগঞ্জ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৮: মুন্সীগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার মাইকেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে দলিল লেখক সমিতি। নতুন এই সাব-রেজিস্ট্রার যোগ দেয়ার পর থেকে গত দুই মাস ধরে অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া কোনো দলিলই রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেন দলিল লেখকরা। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করে দলিল লেখক সমিতি। এর আগেও একই প্রতিবাদে কলম বিরতি পালন করা হয়েছিল।
মুন্সীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির দলিল লেখকরা বলেন, আমরা যেভাবে আইন অনুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রি করে আসছি সেভাবে এখন করতে পারছি না। নতুন এই সাব-রেজিস্ট্রার সকল প্রকার দলিল থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে যা পূর্ববর্তী অফিসাররা এমনটা করেননি। তিনি দলিলকে প্রথমে ত্রুটিপূর্ণ বলছে পরে টাকা দিলেই রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে। দলিল লেখকরা তার কথার প্রতিবাদ করলে দলিল আটকে রাখে এবং দলিল ছুড়ে ফেলে দেয়। এই সাব-রেজিস্ট্রার মুন্সীগঞ্জে বর্তমানে কমিশনে দলিল (প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে রেজিস্ট্রি) রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে মুন্সীগঞ্জে রেজিস্ট্রি করতে আসা মানুষজন। তার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা জানাজানি হওয়ার ফলে অফিসে দলিল কমে গেছে এতে করে দলিল লেখকরা যেমন কষ্টে আছে তেমনি সরকারের রাজস্বও কমে গেছে।
মুন্সীগঞ্জ দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দলিল লিখে আসছি কখনও অফিসে এমনটা দেখিনি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করেছি তাকে বোঝানোর জন্য কিন্তু তিনি কারোর কথা শুনেন না। আমরা আইজিআরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি।
মুন্সীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, একজন সাব-রেজিস্ট্রার এভাবে আমাদের সকলকে জিম্মি করে জনগণের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেন না। জনস্বার্থে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচিতে যাবো। উনি যেভাবে অফিস চালাতে চাচ্ছেন এর আগে কেউ এমন চেষ্টাও করেননি।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার মাইকেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমার ব্যাপারে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আমি নিয়ম মাফিক কাজ করি। পূর্বের সাব-রেজিস্ট্রারদের মত নয়, আমি আমার মত কাজ করব। কমিশন দলিল রেজিস্ট্রি করা না করা আমার ইচ্ছা।