নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,শুক্রবার,২৪ নভেম্বর ২০১৭: যৌন সম্পর্কের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। আর এই ঘটনার জের ধরে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূর প্রতিবেশী বোন রেশমা আক্তার জানান, গোপালগঞ্জের পশ্চিম করপাড়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী আনোয়ারুল হকের স্ত্রীর তার এক প্রতিবেশী বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। আর একই এলাকায় প্রবাসীর স্ত্রীর প্রতিবেশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলী একরামুলও থাকেন। সেখানে প্রবাসী আনোয়ারুল হক মাঝে মাঝে বিদেশ থেকে আসা যাওয়া করেন। নিয়মিত বাড়ি ভাড়াসহ স্ত্রীর কাছে টাকাও পাঠাতেন তিনি। অপরদিকে প্রকৌশলী একরামুল আনোয়ারুলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি করেন। সেই সম্পর্কের কারণে বাসায় গিয়ে প্রায়ই ওই গৃহবধুর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন। একপর্যায়ে একরামুল যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে।
এরপর ওই ভিডিও গৃহবধুকে দেখিয়ে বলা হয়, তোমার স্বামী ও পরিবারের কাছে ভিডিওটি পাঠানো হবে। এতে গৃহবধু সংসার ভাঙ্গার ভয়ে ভিডিও বাইরে প্রকাশে বাধা দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে গত দুই বছরে সর্বমোট ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় একরাম।
গত ২০ নভেম্বর গৃহবধু একরামুলকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধুকে মারধর করে। এছাড়া এই ঘটনা থানা পুলিশ ও কোথাও প্রকাশ করলে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এরপর গৃহবধুর বড় বোন খবর পেয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তুপুলিশ মামলা না নিয়ে তাদের হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে বলে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
গৃহবধুর বোন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার একরামুল গৃহবধুর বাসায় মাঝে মধ্যেই যেত। বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর গাড়ি কেনার কথা বলে আরো ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর ওই গৃহবধুকে স্ট্যাম্পে লিখিত এবং একটি সাদা চেকের পাতা দিয়ে আরো ২ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু ওই টাকা দাবি করায় গৃহবধুর ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেয় একরাম। এরপর তাকে মারধর করা হয়েছে। আর তার সংসার ভাঙ্গার ভয় দেখিয়ে মামলা না করার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই।’ খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।