নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,রবিবার,০৮ জুলাই ২০১৮:
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে কোনো ছাড় দেবেন না মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম। উল্টো তিনি আরিফুল হককে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তাকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সেলিম দলের নেতৃবৃন্দের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেও প্রত্যাশা করেন।
রোববার নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। মেয়র প্রার্থী সেলিম জানান, দল যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তা মাথা পেতে নেবেন। এমনকি নির্বাচনের আগে পদ থেকেও সরে দাঁড়াবেন।
সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ দলীয় জোটের মধ্যে সেলিম ছাড়াও জামায়াতের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রার্থী হয়েছেন। বেকায়দায় থাকা বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক ক’দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অপর দুই প্রার্থীকে বসানোর জন্য। এ অবস্থায় অনেকেই ধারণা করছিলেন সেলিম সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। উল্টো তিনি আরিফুল হক ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে লুটেরা দাবি করে নিজের ৩৯ বছরের রাজনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তাদের লোকজন সবসময় ভোট দেবে এটা হতে পারে না। তারা শুধু নিতেই জানে, দিতে জানে না। আজ তারা ও তাদের স্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। ৩০ জুলাইর সিটি নির্বাচনে নতুন ইতিহাস গড়বেন বলেও প্রত্যাশ ব্যক্ত করেন সেলিম।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় হাইকমান্ডের নির্বাচনী সাক্ষাৎকারে দলের ৬ মনোনয়ন প্রত্যাশী আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থী না করার জোরালো দাবি করে আমাকে সমর্থন জানান। ৯ মাস আগেও দলের সভাপতি ও ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাদের সম্মতিতে আরিফুল হক চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী না করার ব্যাপারে স্মারকলিপি দেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের কাছে। তারপরও আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে আরিফুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হল।
সেলিম বলেন, ২০ দলীয় জোটও আরিফুল হক চৌধুরীকে মেনে নেয়নি। তার সমর্থনে কর্মিসভায় ওয়ার্ড মহানগরীর কমিটির ৫শ’ নেতাকর্মীর মধ্যে মাত্র ৪৭ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রমাণ হয় মহানগর কমিটি ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাকর্মীরা আমার সমর্থনে কাজ করছেন। দলের অন্যতম নেতা অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানও সম্প্রতি আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রত্যাখান করেছেন।
হলফনামায় আরিফুল হক তথ্য গোপন করে নিজেকে স্বশিক্ষিত উল্লেখ করা প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, এমসি ইন্টারমেডিয়েট কলেজে একসঙ্গে তারা পড়েছেন। তার রোল ছিল ৩৫২। এর আগে এইডেট স্কুল থেকে তিনি এসএসসি পাশ করেন বলে স্কুলের সাময়িকীতে উল্লেখ আছে। এসব প্রমাণ থাকার পর তিনি কীভাবে নিজেকে স্বশিক্ষিত দাবি করেন? সেলিম বলেন, আরিফুল হক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে নির্বাচন করছেন। না হয় তথ্য গোপনের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার কথা।