নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্তমানকন্ঠ ডটকম : সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে এ উপলক্ষে দূতাবাস চত্বরে পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এ সময় রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষকগণ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের অভিবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ । এরপর বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। ফুলে ফুলে ভরে উঠে শহীদ মিনারের বেদী। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের। তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে তাদের অবদানের কথা। রাষ্ট্রদূত ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমুন্নত করেছেন।পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার নেতৃত্তে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসের মঞ্চকে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ হিসেবে ঘোষণা দেন, বঙ্গবন্ধু কর্নার এর জন্য জায়গা বরাদ্ধের কথা জানান । রিয়াদ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হায়দার ভুঁইয়াকে বঙ্গবন্ধু কর্নার সাজানোর দায়িত্ব দেন । এবং মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রিয়াদ দূতাবাসের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর কথা তুলে ধরে কমিউনিটির সহায়তা কামনা করেন।
দূতাবাসের উপমিশন প্রধান ড মোঃ নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্তে একুশে ফেব্রুয়ারি কিভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি অভিবাসী বাংলাদেশীদের প্রবাসে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি লালনের আহবান জানান। উপমিশন প্রধান জানান আগামী রোববার থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দূতাবাসের সেবা সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য তিনটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হচ্ছে, যেখানে প্রবাসীরা বিনা খরচে কল করে সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এসময় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ একুশের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। একুশের কবিতা আবৃত্তি করেন শাহজাহান চঞ্চল, কাম্রুজ্জামান, মসীহ সিরাজ ও খন্দকার বশির।
আলোচনা শেষে সকল শহীদদের মাগফেরাত ও দেশ, জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।