আনোয়ার হোসেন আকাশ, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও):
মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক ও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনার প্রতিবাদ করায়। প্রতিবাদকারী শিক্ষকদের সাথে অসদআচরণ তারা ক্লাশ নেওয়ার সময় শ্রেনী কক্ষের চেয়ার সরিয়ে নেওয়াসহ নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে দুইবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত দেশ সেরা বিদ্যাপিট ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮৭৪ জন শিক্ষক সংখ্যা ২০ জন। আর এ নিয়ে বিশাল দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েছেন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
সম্প্রতি ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাচঁজন শিক্ষক মিলে উপরোক্ত অভিযোগগুলোর বিচার চেয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।এছাড়াও জেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্র্তা প্রেস ক্লাব বরাবরেও অভিযোগের অনুলিপি দেন।
অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন বিউটি আক্তার ছেলিমা বিথিকা আয়েশা খাতুন রোকসানা বেগম ও ধীরেন্দ্র নাথ। তাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন মাঝে মাঝেই নিয়মের বাইরে গিয়ে অনেক কাজ করে থাকেন। এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে বিভিন্ন ষ্টাফ মিটিংয়ে তিনি গঠনমুলক আলোচনা না করে ব্যক্তিগতসহ নানান ধরনের রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করে থাকেন।
এগুলোর যারা প্রতিবাদ করেন তাদের তিনি ব্যক্তিগতভাবে আক্রোশ করে থাকেন। এবং যারা প্রতিবাদ করেন না সে শিক্ষকদের তিনি নিজের বলয়ে নিয়ে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিবাদকারীরা থাকেন প্রধান শিক্ষকের কোণ ঠাসায় বলে অভিযোগে ্উল্লেখ্য রয়েছে।
আরো জানা যায় ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষকদের দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। যারা প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছেমত তার সব কথায় সম্মতি দেয় তাদের একটি অংশ। অন্যদিকে সরকারী প্রতিষ্ঠানে সরকারের বিরুদ্বে সমালোচনা করার প্রতিবাদকারীদের একটি অংশ হয়ে রয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরাও এক সময় এমন দ্বন্দে জড়িয়ে যেতে পারেন বলে মনে করেন অভিভাবকরা।
তবে প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন গতকাল রোববার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল্উদ্দীন বলেন, এ অভিযোগটি সরাসরি ডিডি মহোদয়কে দেওয়া হয়েছে।তিনি খুব শিগগির এটির একটি সঠিক ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঠাকুরগাও-৩ আসনের সাংসদ ইয়াসিন আলী গতকাল রোববার মুঠোফোনে বলেন, বিষযটি আমি অবগত নই। এ ধরনের মন্তব্য করে থাকলে প্রধান শিক্ষক অন্যায় করেছেন। বিষয়টি গুরত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।