1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হোক উন্নয়ন ধারায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ- শ্রী অরবিন্দ ধর

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৯

বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাঁজায় বাঁশি” জাতীয় সংগীত ভেসে উঠে স্বাধীন বাংলার আকাশে বাতাসে।

১৯৭১ সনে ২৬শে মার্চে সশস্ত্র বিপ্লবই স্বাধীনতার চেতনা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বদৌলতে জয় বাংলা ধ্বনিতে উদ্বেলিত বাঙালির বীরদর্পে আত্মত্যাগে পাকহানাদার স্বৈরাচারদের পরাজিত করে অর্জিত হয় ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামের ভূ-খ- । জাতির জনকের বলিষ্ট নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের জোয়ারে, গণমানুষের ঐক্যের বাঁধনে পাকিস্তানি স্বৈরাচার ও দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদরের করাল গ্রাস থেকে গাঢ় সবুজের বুক চিরে রক্তিম সূর্যের গোলক অঙ্কিত বাঙ্গালীর প্রাণের মুক্তির পতাকা ছিনিয়ে এনে বিশ্বে মর্যাদা লাভ করে বাঙ্গালি জাতি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাঁজায় বাঁশি” জাতীয় সংগীত ভেসে উঠে স্বাধীন বাংলার আকাশে বাতাসে। এক্ষেত্রে ছিল না গদি দখলের পায়তারা পেট্রল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা, দেশের অর্থনীতির ক্ষতি সাধন, যানবাহনে আগুন ভাংচুরের ঘটনায় সর্বশ্রেণীর মানুষকে উৎকণ্ঠায় রাখার নৃসংশ কর্মকা- ও স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ শক্তির উন্মাদনা আজকের এ দিনটিতে আবার অপশক্তির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে স্বাধীনতাকে নসাৎ করতে কালনাগিনীরা ফণা তুলেছে। তাই সকল মুক্তিকামী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কালনাগিনীর বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। রাজনীতিকদের এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত হবার সময় দ্বারপ্রান্তে।

রাজনীতিতে অর্ন্তদ্বন্দ্ব, কলহ, বিরোধকে পিছনে ফেলে ত্যাগের মন্ত্রে এগিয়ে আপোষহীন মন্ত্রে রুখে দাঁড়াতে হবে সুনীতির দেশ গড়ার অঙ্গিকারে। অপশক্তি চক্রান্তকে দুর্বল ভেবে ক্ষমতার প্রভাবে টিকে থাকার ভাবনা মুছে, গণআন্দোলনের রূপরেখা রূপায়নে সর্বদা প্রস্তুত থাকা একান্ত প্রয়োজন মনে করছে সুধী মহল। তথাকথিত ২০দলীয় জোট আন্দোলনের নামে নাশকতমূলক অনির্দিষ্ট হরতাল অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে দেশ জাতিকে ধ্বংসের মুখোমুখি অবস্থায় নিয়ে যেতে অনড় রয়েছে।

এটা দেশ প্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী মানুষের রাজনীতি হতে পারে না। জনগণ গণতন্ত্রের উৎস, রাষ্ট্র নাগরিকের, আর জনগণের এই দেশ কারো কাবিনের সম্পদ নয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলছেন সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ সুষ্টু নির্বাচন করার যথাযথ সময় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন দেয়া হবে। এ নৃসংশ কর্মসূচি দিয়ে উদ্ভ্রান্তের ক্ষমতায় যেতে হবে এ মানসে বিএনপি নেত্রী আদা জল খেয়ে নেমেছেন। জনগণের ক্ষতি সাধন করে সাধারণ মানুষকে আগুনে দগ্ধ করার সিদ্ধান্তে তাদের উৎকণ্ঠায় রেখে জনজীবন বিপন্ন করে দেশ জাতির কথা না ভেবে নাশকতা চালিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া কী সম্ভব হবে? বিএনপি নেত্রীর কাছেই প্রশ্ন রাখছি। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের মদদে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সহযোগীতায় ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ সৃষ্টিতে সহিংস কর্মকান্ডে দেশের মানুষ আজ অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। নৈরাজ্যকর কর্মসূচিতে প্রমাণ হচ্ছে গদী দখলের লক্ষ্যে নব্য জঙ্গি কায়দায় সোনার বাংলাকে আফগান বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়, তা দৃঢ় সত্য।

আজ সারাদেশবাসী মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ। কাজেই হরতালের ডাকে নয় রক্তঝড়া স্বাধীনতার মাসেও নাশকতার আতঙ্কে সর্ব শ্রেণীর মানুষ। ১৮ কোটি মানুষের কল্যাণে, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণতন্ত্র চর্চায় এ পাশবিক কর্মসূচী বন্ধ করে দেশ জাতিকে বাঁচানোর পরিকল্পনার প্রত্যাশা করছে শান্তিকামী জনতা স্বাধীনতা দিবসের রূপকার ’৭১ সনের ২৬শে মার্চ স্মরনীয় এ দিনটিতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ক্ষণজন্মা জাতির জনক, বাঙ্গালী জাতির অবিস্মরণীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এক সূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বিদেশে অর্থ পাচারকারী, ব্যবসার নামে চোরাচালানকারী, বি.এন.পির কান্ডারী বিদেশে বসে বঙ্গবন্ধুকে রাজাকার বলে কটুক্তি করে কোন সাহসে? বিদেশের কাছে বাঙালির মর্যাদা আজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। ১৯৪৭ সালের তথাকথিত ধর্মীয় চেতনায় অশুভ দ্বিজাতি তত্ত্বের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে জাতির জনক কালপুরুষ স্বদেশী সত্তার আন্দোলনের দ্বার উন্মোচন করেন এবং পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২৩ বছরের একাধারে গর্জে উঠা বাঙালি জাতির রক্তেঝরা মার্চ মাসের আন্দোলনে জাতি পায় স্বাধীন পতাকা। এ প্রেক্ষাপটে সমাজ ও রাজনীতিবিদদের ভাবতে হবে পরিবারতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে ছিন্ন করতে এখন থেকে সঠিক চেতনায় এগুতে হবে। এ স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন সম্ভব নয় তথাপি সজাগ থেকে পথ চলতে হবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের।

আজকের দিনে অতীত ধারাবাহিকতা তুলে ধরছি গণ মানুষে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব অর্থনৈতিক মুক্তি মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করার সময় সুযোগ পায়নি বিগত দিনের সরকার এবং রাজিৈতক দলগুলো। বিশেষ করে অর্থনৈতিক মুক্তিছাড়া স্বাধীনতা মূল্যহীন। কাজেই ৪৩তম বর্ষে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসটি পালনে সুদৃঢ় চেতনার মাধ্যমে সার্বিকভাবে অনাকাঙ্খিত এক আলোর দিক নির্দেশনা বহন করে আনন্দ ঘন পরিবেশে রক্তপ্লুত স্বাধীনতার গৌরবোজ্জল ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছে এবং পিছনে ফেলে আসা অশুভ শক্তির পায়তারা নির্মূল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাধারণ মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বিদায় নিয়েছে।

১৯৭১ সনের রক্ত ঝড়া মার্চের এ দিনটি ২০১৭ সনে ফিরে এসেছে। প্রতি বছরের ন্যায় ধারাবাহিকভাবে দিবসটি পালন করতে গিয়ে জাগ্রত বিবেকে স্মরণ করিয়ে দিযেছে ১৯৭৫ সনের সময়ের দাবীতে এক পর্যায়ে, জাতির জনক শেখ মজিবুর রহমানের চিন্তা চেতনায় শ্রমজীবি, কৃষিজীবি মানুষ সহ দেশের দুঃখী মানুষের মৌলিক অধিকার আশা আকাঙ্খা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় বিপ্লবের চিন্তা নিয়ে বাকশাল কর্মসূচী হাতে নেয়ায় সা¤্রাজ্যবাদের হাতছানীতে দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও মুস্তাক চক্র এ সনেরই ১৫ আগষ্ট কাল রাতে তার শিশুপুত্র রাসেল সহ স্বপরিবারে নির্মম নৃসংশভাবে হত্যা করার বর্বোরচিত ঘটনা প্রবাহ। আবার ৩রা নভেম্বর আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে কেন্দ্রীয় কারাগারকে রক্তে রঞ্জিত করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন, কামরুজ্জামান, মনসুর আলী এই জাতীয় ৪ নেতাকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনাও। পরবর্তীতে এ হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়েই বাংলার মানুষের সত্যিকারের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।

এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার করে খুনীদের শাস্তি দেয়ার দীর্ঘ সূত্রিতার পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙ্গালী নারীত্বের ঐতিহ্য রক্ষায় মহিমান্বিত ক্ষমতাসীন থাকায় সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারকার্য সম্পন্ন করা বিশেষ করে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাজ উদ্দিন সহ জাতীয় ৪ নেতার অবদান ও আত্মত্যাগের কথাও ইতিহাস, প্রজন্মের কাছে তোলে না ধরলে তাদের বিদেহী আত্মার সাথে বেঈমানী করা হবে। অতীতকে বাদ দিয়ে বর্তমান ভবিষ্যত রচনা করা কখনই সঠিক ভাবনা হতে পারে না। এ আলোকে মহান নেতা শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নকে আজকের দিনে স্মরণে মননে ভেসে উঠছে তিনি চেয়ে ছিলেন পরাধীনতার আমলের শোষণ নীতির শৃঙ্খল ছিন্ন করে জনগণকে এগিয়ে চলার প্রতিবন্ধকতা বাঁধা বিপত্তিকে দূর করে সুখী সমৃদ্ধশালী সুন্দর সোনার বংলা গড়তে।

দেশের খেটে খাওয়া মানুষের মন মানসিকতায় আনন্দের হিল্লোল বইয়ে, বাঙ্গালী কৃষ্টি, সংস্কৃতি রক্ষায়, সম্পদের সুষম বন্টনের কর্মসূচী প্রয়োগে নিজেদের ঘর, নিজেদের মতন করে সাজাতে হবে। কিন্তু দেখা গেল, জাতির জনক ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হুমকির মুখোমুখি ও অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়েছে তখনই। অর্থ, সম্পদ অর্থনীতিকে সকল মাুনষের অধিকার কিছু সংখ্যক ক্ষমতাসীনদের হাতে কুক্ষিগত। সে সময় থেকেই দেশ জাতি সঠিক নেতৃত্বহীন কান্ডারী বিহীন হয়ে পড়ে।

রাজনীতিজীবিরা সঠিক নেতৃত্বের অভাবে লক্ষ্যহীন দিক নির্দেশনাহীন ব্যক্তি স্বার্থে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ প্রেক্ষাটপটে প্রগতির চাকা উল্টো ঘুরে গুলে-মালে হটকারী অবস্থায় অস্থীতিশীল রাজনীতির রূপরেখায় অশান্তি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল ও লুটতরাজের রাজত্ব কায়েম হয়ে আসছে। রাজনীতিজীবিরা নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে।

ক্ষণজন্মা সন্তান হারা মা যেন লম্পটের হাতের মুঠোয় কুমারী যুবতী। লম্পটের দল মাতৃভূমির প্রতি প্রেম ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে উন্মত্ত হয়ে উঠে মায়ের মাংসই রাক্ষসের মত খাবলে খেয়ে মায়ের দেহকে হাড্ডিসার দৃশ্যে পরিণত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই দেশ মাতৃকাকে লম্পট স্বাদৃশ্য রাজনীতিজীবি ও ক্ষমতাধরদের খপ্পর থেকে মুক্ত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নতুন পথ সৃজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শক্তি সঞ্চয়ের শপথে সর্বমহল বিদায় জানিয়েছে ২০১২ সনের মহান দিনটিকে। ১৯৭৫ সনের পট পরিবর্তনের পর থেকে যে যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করেছে, তারা সবাই জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের কথা বলে, যেন গাঁধার সম্মুখে মূলা ঝুলিয়ে রাখা ব্যবস্থায়, আলেয়ার আলোর দিকে চালিত করেছে। জনসাধারণের মুখের গ্রাস কেড়ে খেয়েছে। রাষ্ট্রের সমাজের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সুনিপুণ ভাবে অবক্ষয় অরাজকতা লুটপাটের বীজ বপন করে গেছে কেউ কম, কেউ বেশি। এ বীজ ধীরে ধীরে মহিরুহের আকার ধারণ করছে। যারা দেশ পরিচালনা করছেন, দেশ ও জাতিকে গড়ার ভূমিকায় রত তারা সবাই নিজ নিজ স্বার্থে আখের গুছাতে বিচার বিবেক বুদ্ধিজ্ঞান দেশ প্রেম বিসর্জন দিয়ে সমাজ, রাষ্ট্রের রন্ধ্রে-বন্ধ্রে দুর্নীতির জাল বুনছেন। যে কারণে রাজার দোষে প্রাজারা কষ্ট পাচ্ছে তাদের মৌলিক অধিকার আজো নিশ্চিত হচ্ছে না। তাদের জীবন চলা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ছে। তাদের সম্মুখে প্রশ্ন কবে দেখবে বঙ্গবন্ধুর সেই আকাঙ্খিত দুঃখী মানুষের সোনার বাংলা। স্বষ্টার অশেষ করুণায় বাংলাদেশ জন্ম দিয়ে দেশকে আপন করে সাজানোর যে স্বপ্ন জাতির জনক দেখেছিলেন, তা ভিন্নরূপে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রবাহিত হয়। সত্যকে অস্বীকার করলে ভুল হবে দেশপ্রেমিক বীর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত দিনে কিছু কিছু বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে দেশের শান্তিপ্রিয় মানষ খুন, সন্ত্রাস, মাদক, জোয়া কালবাজারী, ছিনতাই, রাহাজানীর আতংকিত ভয়াবহতা থেকে প্রাণভরে শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছিল, সম্মুখে দেখতে পেয়েছিল মুক্তির স্বপ্ন আলোর শিখা।

তখন সেনা কর্মকর্তার প্রভাব এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে যদিও গণতন্ত্র লজ্জায় মুখ ঢেকেছিল। বর্তমানে গণতন্ত্রের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে তো সকলেই লজ্জায় পর্যবশিত সময়গুলোর কথা ভুলে, শুধু মুখে গণতন্ত্রের অধিকার নিয়ে গর্বে মাতুয়ারা। পূর্ণ গণন্ত্রের আবেশে কি দেশ চলছে প্রশ্ন রইল? গণতন্ত্রের মর্যাদা দেয়ার মানষিকতা কি রাজনীতিজীবিদের আমল হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধানে বন্দী রাখা দুঃখী মানুষের অধিকার একেক করে বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশের অনেক রাজনীতিজীবি, আমলা, অসাধু ব্যবসায়ী মহল, ফরিয়া দালালরা মানুষের সম্পদ লুটে সম্পদের পাহাড় গড়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাল ধরছেন। ত্যাগী রাজনীতিবিদ এবং সৎ চিন্তা ধারার কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সুধীসহ এক শ্রেণীর মানুষের তো মাথায় হাত পেটে লাথি তাদের কথা, লেখা মূল্যহীন। অপর দিকে ধর্মীয় অনুভূতি ছাড়া নৈতিকতা রক্ষকরা সম্ভব হয় না। ধর্মীয় লেবাসে জঙ্গীবাদ সৃষ্টিতে আত্মঘাতি বোমা হামলা করে মানুষ হত্যার খেলায় রত হয়েছিল। পেট্রল বোমা মেরে সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মের ক্ষতি সাধন করেছে।

মৌলবাদ শব্দের ব্যাপকতা সৃষ্টিতে প্রকৃত ধর্মানুশীলকারীদের এবং ঈশ্বরে বিশ্বাসী, মানুষের কল্যাণে চিন্তা চেতনায় উদ্ভোদ্ধদের সমালোচিত করেছে। অপর দিকে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। এ জাতীয় সংগীত গেয়ে যারা বিদেশে তাদের লুটপাট কৃত অর্থ সম্পদ বিনিয়োগ করে গড়ে তোলেছে কলকারখানা মার্কেট ইত্যাদি।

সময় কথা বলে, কথা বলছে কিন্তু এখনো জনগণের লুণ্ঠিত সম্পদ দেশের কোষাগারে সম্পূর্ণ জমা হয়নি। গণতন্ত্রের লেবাসধারী রাজনীতিজীবিরা শুধু নির্বাচনকে টার্গেট করে সরকারী দল ও বিরোধী দলের ঢিল ছুড়াছুড়ি চলে আসছে চলছে। জনগণের ভাবনা ছেড়ে বিদেশীদের তোষন পোষণ একমাত্র অবলম্বন। মনে পড়ে এক লেখকের শিরোনাম ছিল দুই নেত্রীর ঝগড়া থেকে জাতি মুক্তি চায়। এক বৃদ্ধ মহিলার উক্তিটিও স্মরণে আসলো, দুই সতীনের বিবাদ আর ভাল লাগছে না।

এ ভাবনার দেশে পুরুষ নেতৃত্বের অভাব বলেই ধাণা করা যায়। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে যেমন চলছে সামনে নারী পিছনে পুরুষ। কেননা পিছনে থেকে আখের গুছানোই একমাত্র লক্ষ্য পুরুষ নেতৃত্বের। লজ্জা ও ঘৃণার সাথে লিখতে বাধ্য হচ্ছি অতীতে রাজনীতিজীবিরা সংবিধানকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেনি, কুণ্ঠিত হয়নি। জেনারেল সরকার আমাদের পবিত্র সংবিধানকে বার বার বিকৃত করছে। ইতিহাস কথা বলে তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুন্ন রেখে অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সুনীতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চেতনা, সুশাসন ও কঠোর আইন প্রয়োগে আমাদের সঠিক অর্জন করতে হবে। সত্য একদিন প্রভাবিত করবেই প্রজন্মদের। হরিলুটের রাজত্ব কায়েমের ভাবনা থেকে সরে দাঁড়িয়ে দেশ প্রেমিক জনতাদের, সঠিক দায়িত্বশীল নেতাদের খুঁজে নিয়ে বর্তমান সরকারের কাঠামোকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনে জাগ্রত জনতার সময়ের দাবী মিটাতে হবে যে কোন মূল্যে।

গণতন্ত্রের লেবাসে চরম স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরাচারিতা ও হটকারীতাপূর্ণ তথা কথিত রাজনীতির মূল উৎপাটন সম্ভব হবে। তবে স্বার্থক হবে লাখ শহীদের জীবন উৎসর্গ শুধু ধারাবাহিক প্রচার আচার অনুষ্টানে নয়। প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র পাবে মুক্তি, জাতি পাবে প্রগতির পথে চলার সাবলীল গতি। বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। দেশের নির্যাতিত মানুষ দুঃখী মানুষ ফিরে পাবে সত্যিকারের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধর্মনিরপেক্ষতা। ৪৮তম বর্ষে এসে মহান দিবসটিতে অনুভব হচ্ছে আমাদের সম্মুখে উদীয়মান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামো স্বচ্ছতার আলোকে, অর্থনৈতিক মুক্তির দাবীতে সুনীতির বাংলাদেশ গড়ার পথে চলার নতুন যাত্রার আগমনী বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে প্রজন্মের সুন্দর মনের গভীরে নবীন প্রবীণের প্রাণে-প্রাণে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার সংকল অটুট থাকবে। দেশ জাতির কল্যাণে সরকারের চলমান ধারায় স্বাধীনতার জন্য আত্ম উৎস্বর্গকারী বীর সন্তানদের অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধশালী ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার মুক্তি পাবে। বঙ্গকন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা জাগিয়ে রেখে বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালি জাতিকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যাশা আমার।

 

শ্রী অরবিন্দ ধর

সাংবাদিক, কলামিস্ট,লেখক

আহ্বায়ক, বাংলার মুখ, নেত্রকোণা জেলা শাখা।
জাতীয় পরিষদ সদস্য, খেলাঘর।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাবেক ছাত্রনেতা।
তারিখ: ২৫/০৩/২০১৯
মোবাইল: ০১৮১৯৪৪৬৪৫৫, ই-মেইল: abdspress2012@gmail.com




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD