অনলাইনে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান শিখো ডটকমের ব্যবসা শাখার কর্মকর্তা ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তাওসিফ জাওয়াদ আহমেদের খোঁজ মিলেছে।
শনিবার যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সন্ধান পায় পরিবারের সদস্যরা।
১২ দিন আগে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তাওসিফ।
এ ঘটনায় তাওসিফের বোন তানজিনা আহমেদ বাদী হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
তাওসিফ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সর্বশেষ তিনি শিখো ডটকমে যোগ দেন।
তানজিনা বলেন, ‘যশোর সদরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাইয়ের খোঁজ পেয়েছি। সে অনেক অসুস্থ। ঠিকভাবে কথাও বলতে পারছে না। হাত নেড়ে সাংকেতিকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে, তাকে কেউ মেরেছে। চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় এনে অন্য কোনো হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। কীভাবে যশোর এসেছে, সে সম্পর্কেও কিছু বলতে পারছে না।’
তানজিনা আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাদের এখন তাওসিফকে বেশি প্রশ্ন না করতে নিষেধ করেছেন। তার পুরোপুরি সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।’
হাতিরঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, যশোর শহরের রাস্তায় উদভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা ওই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক হাতিরঝিল থেকে নিখোঁজ তাওসিফ। এরপর দ্রুত তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।
তাওসিফের নিখোঁজ জিডিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর রামপুরার ওয়াপদা রোডের বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন তাওসিফ। ঘটনার দিন ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন তিনি। অফিস শেষে রাত সোয়া ৯টার দিকে বাসায় ফেরেন।
এরপর বাসায় বাইক রেখে রামপুরা বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। রাত ১০টা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তাওসিফ বুথ থেকে টাকা তুলে বের হয়েছে। এরপর আর কোনো ফুটেজে তাকে স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
পুলিশ বলছে, তাওসিফ ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির খপ্পড়ে পড়েছেন নাকি অন্য কোনো কারণ রয়েছে তার তদন্ত চলছে। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন নাকি তাকে কেউ অপহরণ করেছে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।