জাহিদুর রহমান তারিক, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, ঝিনাইদহ : সংবাদ প্রকাশের পর ঝিনাইদহে হ্যান্ড স্যানিটাইজার-হেক্সিসল গিলে খাওয়া এসিআই’র এমপিও সিমুল হোসেনের জোর দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে! তিনি শহরের বিভিন্ন ফার্মেসী মালিকদের কাছে ঘুরে ঘুরে জন সমাজে নিজেকে নিদোর্ষী প্রমাণে মরিয়া হয়ে পড়েছেণ। শুক্রবার আরাপপুরের জাহানারা ফার্মেসীর মালিক মুরাদ হোসেন এসব কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের জানান তার সাথে এসিআই কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার-হেক্সিসল বিষয়ে শিমুলের সাথে কোন লেনদেন নেই। অজ্ঞাত কারনে কথা গুলো তিনি বেশ রাগাম্বিত স্বরেই সাংবাদিদের বলেন। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ শহরে নিয়মিত আসলেও এসিএই’র মেডিকেল প্রমোশন অফিসার শিমুল হোসেনের তেলেসমাতী কান্ডে অতিরিক্ত টাকায় গোপনে বেঁচে দিচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার-হেক্সিসল!
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের জনৈক ফার্মেসি মালিক সাংবাদিকদের জানান গত সপ্তায় ৬০০ থেকে ৮০০ পিস এসিআই কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার-হেক্সিসল ঝিনাইদহ শহরে এসিএই’র এমপিও শিমুল হোসেনের নিকট হস্তান্তর করে কোম্পানি। কিন্তু সেসব পন্য চোখে দেখা যায়নি মর্মে জানায় শহরের বেশ কিছু ফার্মেসির মালিকরা। তারা আরো জানায় এসিএই’র এমপিও শিমুল তার ব্যাক্তিগত ফয়দা ও অতিরিক্ত টাকা লোটার জন্য কিছু কিছু ফার্মেসিতে অত্যান্ত গোপনে এবং বেশি টাকায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার- হেক্সিসল গুলো বিক্রি করে আসছে। পরে কোম্পানিতে সাপ্লাই নেই মর্মে আমাদেরকে ভুগোল পড়াতে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ শহরের শহরের আপাপপুর, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পাগলাকানায়, হামদহ,বাইপাশ, মডার্ন মোড় এলাকা ঘুরে এসিএই’র প্রমোশন অফিসার শিমুলের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিভিন্ন ফার্মেসির মালিকরা। শহরের ফার্মেসির মালিকরা শিমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান দেশের মানুষের এমন দুর্দিনে এধরনের তেলেসমাতী কান্ড করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার-হেক্সিসল গোপনে অন্যাত্র বিক্রি করেছে শিমুল হোসেন, আমরা তার এহেন কর্মকান্ডের জন্য সরকারের কাছে জোর বিচার দাবী করছি।
এবিষয়ে এমপিও শিমুল ফার্মেসির মালিকদের বক্তব্য সঠিক নই ও কোম্পানিতে সাপ্লাই নেই মর্মে (০১৭৯৯- ৯৮০৭৮৫) মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়। শিমুলের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে যশোর এলাকার এসিএই’র অফিসার (০১৭১১-৮৪০০১৯) তার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায় এসিআই কোম্পানিতে একই মূল্যে সারা দেশে কিছু কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার- হেক্সিসল সাপ্লাই দিচ্ছে, কোম্পানিতে একবারে যে নেই তা নই। আমি আজ সন্ধ্যায় শিমুলের ব্যাপারে ব্যাবস্থা নিব বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে চলছে করোনার উত্তাপ। সেই উত্তাপ ছড়িয়েছে নগরের ফার্মেসিগুলোতেও। হঠাৎ এসব ফার্মেসি থেকে উধাও জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী।
এমনকি পাইকারি বাজারেও নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল! এদিকে ক্রেতাদের বারবার জিজ্ঞাসায় কয়েকটি দোকানতো সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। যেখানে লেখা- ‘মাস্ক, হেক্সিসল ও সেনিটাইজার নাই’।
এর আগে হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে হেক্সিসল পাওয়া গিয়েছিল ।তখন ৭৫ টাকার ১০০ মিলির একটি হ্যান্ড স্যনিটাইজার ১০০ টাকা এবং ২৬০ টাকার ৪৫০ মিলি ৩১৫ টাকা বিক্রি করা হয়। এদিকে পাইকারি ওষুধের দোকানে গিয়ে দেখা যায় সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা আছে-‘মাস্ক, হেক্সিসল ও সেনিটাইজার নাই’। এর কারণ জানতেই চাইলে দোকানি বলেন, ‘সাপ্লাই নেই। চাহিদাও হঠাৎ বেড়ে গেছে। তাই ক্রেতাদের দিতে পারছি না। যারা কিনতে আসছেন তাদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।