নিউজ ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশনের মতো লোকসমাগমপূর্ণ স্থানগুলোতে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ ও ‘বেবি কেয়ার কর্নার’ স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেইসঙ্গে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ ও ‘বেবি কেয়ার কর্নার’ স্থাপনে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং ওইসব স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) ৯ মাস বয়সী এক শিশু ও তার মায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার মো. দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, গণপূর্ত সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এবং বেসামরিক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আবদুল হালিম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান ও জামিউল হক ফয়সাল।
গত মঙ্গলবার নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধ পান করতে ৯ মাসের শিশু উমাইর বিন সাদী ও তার মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বাদী হয়ে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেন।
সেখানে বলা হয়, মায়েদের জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে যেখানে মা তার শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে অস্বস্তি বোধ করবেন না বা যৌন হেনস্তার শিকার হবেন না।
এই প্রথম উচ্চ আদালতে ৯ মাসের কোনও শিশুর রিট পিটিশন করতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে আদালত রুল জারির পর শিশু উমাইরের মা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্মস্থলে কিংবা চলার পথে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে খুবই অস্বস্তিতে পড়েন। অনেকক্ষেত্রে যৌন হয়রানিরও শিকার হতে হয়। আমার মতো হাজারো মা এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ অপরিহার্য।’