সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাজনৈতিক দলে সংকট, সমঝোতার চেষ্টায় সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে আ. লীগই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে : ড. আব্দুল মঈন খান নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপিতে ক্ষুব্ধ ভোটাররা চান দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী গাজার পথে মুক্তি পাওয়া ১৯৬৬ ফিলিস্তিনি তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্যের মূল্যায়নে বাংলাদেশের দুই বিমানবন্দর শীর্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’ ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার বর্ণনা দিলেন শহিদুল আলম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

‘এবার প্রতিক্রিয়া হবে ভিন্ন, যা মার্কিন পতনকে ত্বরান্বিত করতে পারে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ১৭৩ পাঠক
প্রকাশকাল শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

‘যদি ইরানের জাতীয় স্বার্থ এবং সম্পদের ওপর আবার আক্রমণ করা হয়, তাহলে এবার আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে ভিন্ন, আরও চূর্ণবিচূর্ণ এবং ধ্বংসাত্মক এবং এটি মার্কিন শাসনের পতন ত্বরান্বিত করতে পারে।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির তীব্র সমালোচনা করে শুক্রবার দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসব কথা বলেছেন ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।

শনিবার (২৮ জুন) ফার্স সংবাদ সংস্থায় সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রমেজান শরীফ সতর্ক করে বলেন, শরীফ ট্রাম্পের মন্তব্যগুলোকে ‘বাজে কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এগুলো ‘ইরানের কাছে একটি ভারী পরাজয়ের ফলাফল’।

পৃথকভাবে আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা নাকদি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের ওপর সামান্যতম আক্রমণও হয়, তা সফল হোক বা না হোক, একজন আমেরিকান প্রতিনিধিও এই অঞ্চল থেকে পালাতে পারবে না। এই অঞ্চলের সমস্ত আমেরিকান কূটনীতিক, সামরিক কর্মী এবং কর্মচারীদের হয় হত্যা করা হবে, অথবা বন্দি করা হবে।’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় ছয়টি বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ফেলে এবং নাতানজ ও ইসফাহানের স্থানে কয়েক ডজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

যুদ্ধ থামার পর আজ তেহরানে হাজার হাজার ইরানি জড়ো হয়ে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ব্যক্তিদের জানাজায় যোগ দেন। যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক ব্যক্তিরাও ছিলেন।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কমপক্ষে ৬০৬ জন নিহত এবং ৫,৩৩২ জন আহত হন।

জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, তেহরান ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৩,৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর