নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের নাইজার রাজ্যে গত মাসে অপহৃত ১০০ জন স্কুল শিক্ষার্থীকে অবশেষে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে দেশটির সরকার।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম অপহৃতদের মুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণ-অপহরণগুলোর একটি ছিল এই ঘটনা।

২১ নভেম্বর নাইজার রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রাম পাপিরিতে অবস্থিত সেন্ট মেরিস ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুলে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে অপহরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া (সিএএন)।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৫০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হলেও বাকি শিক্ষার্থী ও স্টাফদের অবস্থান সম্পর্কে এতদিন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। অপহৃতদের মধ্যে মাত্র ছয় বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীও ছিল।

যদিও স্থানীয় গণমাধ্যম ১০০ শিক্ষার্থীর মুক্তির খবর প্রচার করেছে, তবে কীভাবে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। সিএএন এবং নাইজার রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে এখনও তারা কোনো আনুষ্ঠানিক নোটিশ পায়নি।

নাইজার রাজ্যের সিএএন মুখপাত্র ড্যানিয়েল আতোরি বলেন, “ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা আসেনি। আমরা আশা করি খবরটি সত্য এবং যারা এখনও নিখোঁজ রয়েছে, তারাও দ্রুত মুক্তি পাবে।”

এ বিষয়ে নাইজেরিয়ার ফেডারেল সরকারের কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুলে হামলার ঘটনাটি দেশজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৪ সালের চিবোক গণ-অপহরণের এক দশক পরও নাইজেরিয়া নিরাপত্তাজনিত সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোয় বিষয়টি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে।