মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

ইউরোপে বাইডেনের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: / ২৫ পাঠক
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপীয় নেতা ও মিত্রদের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎ করবেন। এমন এক সময়ে বাইডেনের এ ইউরোপ সফর—যখন বিশ্ব এক চরম সংকটে জর্জরিত। আপাতদৃষ্টিতে যার কোনো সমাধান নজরে আসছে না। খবর বিবিসি।

দেশে-বিদেশে এমনিতেই চাপের মুখে থাকা বাইডেন ইউরোপ সফরে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, তা বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। পাঠকদের জন্য সেগুলোই তুলে ধরা হলো-

ঐক্য প্রদর্শন
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত তার মিত্রদের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলেছে। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে যখন জরুরি ঐকমত্যের জন্য কিছু প্রথাগত বাধা পাশে সরিয়ে রাখার দরকার পড়েছিল, তখন মিত্রদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

তবে, যুদ্ধের ব্যাপ্তি যত বাড়বে এবং দীর্ঘায়িত হবে, মতবিরোধের আশঙ্কাও বাড়বে। বাইডেনকে তার মিত্রদের বোঝাতে হবে যে, ন্যাটোকে শক্তিশালী করা কোনো অস্থায়ী সমাধান নয় বরং এটাই এখন নতুন স্বাভাবিক।

উদ্বাস্তু সংকট
রাশিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশছাড়া ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সিংহভাগ গ্রহণ করেছে পোল্যান্ড। লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করা পোল্যান্ডের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। এবং এ সংকট যদি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা না করা হয়, তাহলে তা দেশটিকে সামাজিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

পোল্যান্ডকে নির্ভরযোগ্য ন্যাটো সদস্য হিসেবে পাশে পাওয়া নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম ভাবনার বিষয়।

সামরিক সমাধান
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও উন্নত ধরনের দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেয়ে বলা অনেক সহজ।

কারণ, যে ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অস্ত্রসহ যুদ্ধের রসদ ইউক্রেনের হাতে গেলে ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখাবে রাশিয়া, তার কোনোটিই যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের সহায়তা ও সম্মতি ছাড়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।

নিষেধাজ্ঞার রোডম্যাপ
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেওয়া একের পর এক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবে রাশিয়াকে ইউক্রেনের ওপর পূর্ণমাত্রায় হামলা করা থেকে খুব একটা পিছু হটাতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্ররা এখন পর্যন্ত জোর দিয়ে বলছে—রাশিয়ার ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞাগুলো দেশটির যন্ত্রণা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়াবে। তবে, একই সঙ্গে রাশিয়াকে তার আগ্রাসনের জন্য শাস্তি দেওয়ার নতুন পথ খুঁজে বের করতে মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতাদের ওপর চাপ বাড়ছে।

চীন ইস্যু
চীনকে রাশিয়ার কাছ থেকে দূরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয়কেই সমন্বিত চেষ্টা চালাতে হবে। এবং সম্ভব হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দায় আরও সোচ্চার হতে চীনকে রাজি করার চেষ্টাও করতে হবে। তবে, আসন্ন জি২০ অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষে চীনের মতামত প্রমাণ দিচ্ছে যে, সে কাজটি মোটেও সহজ হবে না।

তবে, রাশিয়াকে খোলাখুলি সাহায্য করলে চীনের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি এরই মধ্যেই চীনা অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *