শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন

এবার মাহির বিষয়ে মুখ খুললেন ইলিয়াস কাঞ্চন

বিনোদন ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম- / ৮১ পাঠক
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন

কিছুদিন আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার হন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। গ্রেফতারের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাহিকে গ্রেফতারে তখন ক্ষুব্ধ হন দেশের বিনোদন অঙ্গনের অনেকে। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী মনে করছেন, মাহিকে এভাবে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন।

বর্তমানে ইলিয়াস কাঞ্চন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে আছি। তারাও দেখেছে পুরো ঘটনা। তারা বলল, মাহি যে রকমই হোক, সে তো একজন শিল্পী। তাকে এয়ারপোর্ট থেকে এভাবে অ্যারেস্ট করতে হবে! সে তো বিশাল বড় কোনো একজন কিলারও নয়। তাকে যদি অ্যারেস্ট করতেই হয়, বাসা থেকেও তো করা যেত। এয়ারপোর্টে নামার সঙ্গে সঙ্গে যেভাবে অ্যারেস্ট করা হলো, তাতে মনে হয়েছে, দেশের মধ্যে কোনো ডন আসছে। তাকে এয়ারপোর্ট থেকে অ্যারেস্ট না করলে, সে পালিয়ে যাবে।’

এরপর এ নায়ক বলেন, ‘সংস্কৃতি জগতের সবারই ভাবমূর্তির বিষয় আছে। সেগুলো তো অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত ছিল ওই পুলিশ কর্মকর্তার। কাজটা এ রকমভাবে করা উচিত হয়নি। যেভাবে এয়ারপোর্ট থেকে অ্যারেস্ট করা হলো, কয়েক ঘণ্টা পর আবার ছেড়েও দিল—তাহলে বিশাল ক্রিমিনালকে যেভাবে ট্রিট করে, একজন শিল্পীকে নিয়ে সে কাজটা কেন করল! এই কাজ করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা শুধু ক্ষমতা প্রদর্শন করলেন, তা তো নয়, আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য ক্ষতিকর কাজটিই তিনি করলেন। সর্বজন পরিচিত চলচ্চিত্রের একজন শিল্পীকে এভাবে অ্যারেস্ট করা মোটেও ঠিক হয়নি। তাকে এভাবে অ্যারেস্ট করাটা তার ইমেজ ক্ষুণ্ন করা, শিল্পীদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করা এবং ব্যবসায়িকভাবে চলচ্চিত্রের জন্য ক্ষতি করা।’

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের আদালতে হাজির করে মাহির সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয় মাহিকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *