শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

কোটচাঁপুরে প্রতিবন্ধী শিশুর পিতা মাতাকে পিটিয়ে জখমের পর বাড়িঘর ভাংচুর, থানায় অভিযোগ

জাহিদুর রহেমান তারিক / ৭০ পাঠক
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৪নং বলুহর গ্রামে স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি ও গাছ বিক্রয়ের টাকা আত্মসাতের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় সেলিনা খাতুন (২৯) ও স্বামী আশাদুল ইসলাম নামে দুইজনকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত সেলিনা খাতুন আশাদুলের স্ত্রী।

গত মঙ্গলবার (২২শে জুন) আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে বলুহর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত সেলিনা খাতুন এর সাথে কথা বললে,তিনি জানান আমার স্বামীর আপন বড় ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি ও গাছ বিক্রির ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় ।আমার স্বামীর ওয়ারিস সূত্রে পাওয়া জমিজমা উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ভাগাভাগি করলেও বিবাদী শহিদুল ইসলাম ও অহিদুল ইসলামের পরিবার কেউ মানতে চাই না । এমনবস্থায় আমার স্বামী কোটচাঁদপুর মডেল থানায় ইতিপূর্বে একটি অভিযোগ করেছিলেন। তাছাড়া কিছুদিন পূর্বে আমাদের আবাদকৃত পেয়ারা বাগানের সাথে বিবাদি অহিদুল ইসলামের জমি থাকায় সেখানে সে আমার জমির সীমানায় লেবু গাছ লাগায়। এ বিষয়ে ২২শে জুন রাত ৮ টার দিকে বলুহর জামতলা নামক বাজারে আমার স্বামী তাদের সাথে কথা বললে তারা আমার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়।এসময় তারা আক্রমনাত্মক হলে আমার স্বামী পাশের দোকানে ঢুকে চুপ করে বসে থাকে। এই সময় সুযোগ বুঝে বিবাদী শহিদুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম ও তাদের পরিবার সদস্য মিলে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমার বসতবাড়িতে ঢুকে আমার ওপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়, এক পর্যায়ে তাদের আক্রমনে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা বাঁশ দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ও পরিশেষে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায়।আমার আত্মচিৎকারে বেড়াতে আসা আমার আম্মা এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে ও সে সময় ঘরে থাকা আমার প্রতিবন্ধী সন্তান কেও মারধর করে। এসময় আমার ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা পেয়ারা বিক্রির নগদ ১ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমাদের সকলের চিৎকারে আমার স্বামী আশাদুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তারা দলবদ্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালায়,এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করে তার কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

আমাদের চিৎকারে পাশে থাকা প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তারা তাদের কেও হুমকি প্রদান করলে, প্রতিবেশিরা আমাদের কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। বর্তমানে আসামীরা আমার পরিবারের সদস্যদের কে বিভিন্ন ভাবে খুন জখমের হুকমি ধামকি প্রদান করছে। এমনবস্থায় আমার পরিবারের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বিধায় আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য মডেল থানায় লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দায়ের করি।

এ ব্যপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *