শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৮: রাজধানীর গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিসের নামে নৈরাজ্য আবারও বেড়েছে। প্রতিনিয়ত যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, উত্তরা থেকে মিরপুর রুটে সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এই রুটে সিটিং সার্ভিসে ভাড়া নেয়া হয় ৩০-৪০ টাকা; কিন্তু লোকাল সার্ভিসের মতোই বাস চালানো হয়, অর্থাৎ যত্রতত্র বাস থামিয়ে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হয়। রাস্তায় যেখানেই যাত্রী দেখে, গাড়ি থামিয়ে দেয়। এতে যাত্রী উঠুক বা না উঠুক থামিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি যাবেন কিনা।
শুধু তাই নয়, এই রুটে কেউ যদি শেওড়াবাজার থেকে কালশী মোড়ে নামে তাকেও ৩০ টাকা এবং আবদুল্লাহপুর থেকে গাবতলী গেলেও ৩০ টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ একটিমাত্র ফ্লাইওভার পাড়ি দিতে লাগছে ৩০ টাকা।
এমন কোনো দিন নেই যেদিন এ নিয়ে বাসে বাকবিতণ্ডা হয় না। এরা কোনো ক্ষেত্রেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার হার মানছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস কর্মচারীদের কাছে সাধারণ যাত্রীরা অসহায়।
মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত আসন থাকলেও নিয়ম মানা হয় না। শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ছাড়ের ব্যবস্থাও নেই। প্রশ্ন হল, এ নৈরাজ্য কি চলতেই থাকবে?
বাস্তবতা হল, বিআরটিএ’র আইনে ‘সিটিং সার্ভিস’ বলে কিছু নেই। মালিকরা অতি মুনাফার লোভে নিজেরাই এ সার্ভিস চালু করেছে। এ নৈরাজ্য চলতে পারে না। রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস চালু করতে হলে নতুন আইন করেই তা করতে হবে।
সেক্ষেত্রে লোকাল ও সিটিংয়ের পৃথক পৃথক ভাড়ার হার সরকারকে নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং তা কার্যকর করতে হবে। সিটিং সার্ভিস বাস যেন কোনোভাবেই বাড়তি যাত্রী তুলে লোকালের মতো চালাতে না পারে, তা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।
সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় স্টপেজ অনুযায়ী সিটিং সার্ভিস বাস চালাতে হবে। টিকিট দিয়ে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করতে হবে। মালিকদের মর্জিমতো ভাড়া আদায় ও স্টপেজ নির্ধারণ করা যাবে না।
যাত্রী মাঝপথের কোনো স্টপেজে নামলে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। একজন ভুক্তভুগী যাত্রী হিসেবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোহাম্মদ অংকন
শিক্ষার্থী, ঢাকা