বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জনান ডাকে সাড়া দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। টানা ছয় দিন ধরে তিনি সিসিইউতেই আছেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে চীন থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আসছেন আরও একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসকরা ডাক দিলে তিনি কিছুটা সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার আগের চেয়ে ভালো আসছে। চীন থেকে আরেকটি টিম আসছে, তারা দুপুরেই কাজ শুরু করবেন।”
খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসবেন কবে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যে তিনি বাংলাদেশে আসবেন।’
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। তবে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকলের দোয়া ও আশীর্বাদে খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। আপনারা গুজবে কান দেবেন না, ইনশা আল্লাহ ম্যাডাম সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানান।
এদিকে সোমবার রাতে টানা আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড। বৈঠকে দেশি-বিদেশি অন্তত দেড় ডজন চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন। লন্ডন ক্লিনিকের বিখ্যাত চিকিৎসক প্যাট্রিকও যুক্ত ছিলেন, যার অধীনে খালেদা জিয়া লন্ডনে মাসব্যাপী চিকিৎসা নিয়েছিলেন। স্কাইপে যুক্ত ছিলেন তার ছেলে তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান।
বৈঠক রাত ১০টার দিকে শেষ হয়। বৈঠকের পর বোর্ডের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিছু জটিলতার কারণ খুঁজতে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি বিদেশি মেডিকেল টিম সোমবার এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছে। টিমের অধিকাংশ চিকিৎসক চীনের নাগরিক বলে জানা গেছে। তারা গতকালই হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ফলোআপ করেন।







