শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
প্রতিবছর ঈদ যাত্রার কথা মনে পড়লে মনে পড়ে যায় ভোগান্তির কথা। এক সময় দক্ষিণবঙ্গের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, খুলনাসহ প্রায় ১৯টি জেলার মানুষের কাছে ভোগান্তির আরেকনাম ছিল যাত্রাপথে লঞ্চ কিংবা ফেরিতে নদী পারাপার। তবে সেই ভোগান্তি কমিয়ে দিয়েছে বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু, চলতি পথে মিলছে স্বস্তি।
গত ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরেই দক্ষিণবঙ্গের ১৯টি জেলার মানুষের ভাগ্য খুলেছে, কমেছে যাত্রা পথের ভোগান্তি। পূর্বের ন্যায় এখন সময়ও কম লাগছে তাদের। ঈদ যাত্রায় এমন স্বস্তিতে আনন্দিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
গোপালগঞ্জের ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দা রহমত মিয়া। ঈদ যাত্রায় কোন ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি। আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের কাছে সোনার হরিণের মতো। আগে অনেক সময় লঞ্চ ফেরির জন্য দুই-আড়াই ঘণ্টা ঘাটে রোদে পুড়তে হতো। আমাদের সেই ভোগান্তির দিন শেষ করেছে পদ্মা সেতু।
ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুকাইয়া খান রাইসা। ঈদের ছুটিতে নিজ বাড়ি ফরিদপুরে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরে তিনিও আনন্দিত।
রাইসা বলেন, প্রথমত আগে অনেক পথ ঘুরে যেতে হতো। গাবতলী হয়ে যেতে হতো। এখন পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতের ফলে কষ্ট কমেছে। আর অল্প সময়েই বাসায় পৌঁছাতে পারি।
আগের দিনের দুর্ভোগের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আগে লঞ্চে মালপত্র বহন করে ওঠা একটা মানুষের জন্য কষ্টদায়ক ছিল। লঞ্চের নাম্বার মনে রেখে ওঠা কষ্টকর হতো, অনেক সময় ভুলও হয়ে যেত। সব কিছুর সমস্যাই এখন কমিয়ে দিয়েছে পদ্মা সেতু।
এদিকে, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, ধোলাইপাড় এলাকায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, বেড়েছে যানজট। ফলে ঢাকা ছাড়তে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘরমুখী মানুষদের।