শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
সংবেদনশীল ইস্যুগুলো প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে সংবাদ প্রকাশ করার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। রোববার ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় এ পরামর্শ দেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের ৫২ বছরের ভ্রমণে প্রায় ৩০ বছর কেটেছে সামরিক শাসকের দ্বারা। সামরিক শাসকের লেবাস বা গণতন্ত্রের লেবাসে তারা শাসন করেছেন। ৩২ বছরের মধ্যে ২০ বছর বাদ দিলে এটা খুবই স্বল্প সময়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিতে ব্যক্তিস্বার্থ বলে কিছুই নেই। বাংলাদেশ বর্তমানে যে অবস্থায় আছে, সেই জায়গায় বাংলাদেশ তার অবস্থানকে ঠিক রেখে আমাদের যে মূলনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এটাকে ঠিক রেখে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাটিজিক স্টাডিজে (বিআইআইএস) ডিক্যাবের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘কূটনীতিতে অনেক সংবেদনশীল ইস্যু থাকে। সেসব বিষয় কূটনীতিকদের দেখতে হয়। এ ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থটা দেখতে হয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা দরকার। গণমাধ্যমকেও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একজন সাংবাদিক চাইলেও এখন আর সাধারণ মানুষকে হাল্কা করে নেয়ার সুযোগ নেই। কেননা, প্রযুক্তির কারণে যে কেউ চাইলে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। আর এ কারণে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা খুব জরুরি।’
ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘বর্তমানে সাংবাদিকদের বড় চ্যালেঞ্জ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এখানে অনেক তথ্য ঘুরছে। দিন দিন বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে সাংবাদিকদের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা বাড়াতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস। সংগঠনের সাবেক সভাপতি রাহীদ এজাজ ও পান্থ রহমান অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।