বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ফের ধর্ষণচেষ্টা, অতঃপর…

মো. হুমায়ুন কবির / ২৩ পাঠক
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণে মামলায় কারাভোগের পর জামিনে মুক্তির পাঁচ মাস না যেতেই আবারও ধর্ষণ করতে এসে গভীর রাতে ধরা খেলো যুবক। ধর্ষিতা ওই কলেজছাত্রীর এবার তাকে ধরে ফেললেন। তাকে একদিন আটকে রাখা হয়। পরদিন গভীররাতে ৬ লাখ টাকার দেনমোহরে ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় ধর্ষক।

০৪ জানুয়ারী বুধবার দিরাগত রাত ২টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বারা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহান (৩০) প্রায়ই উত্যক্ত করতো পাশের গ্রামের কলেজপড়ুয়া ওই ছাত্রীকে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দেন-দরবার হলেও কোনো কাজে আসেনি। এ অবস্থায় গত বছরের ৫ জুন রাত ১০টার দিকে মেয়েটির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সোহান তার ঘরে প্রবেশ করে। এসময় কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে কেটে পড়ে সে। এ ঘটনা নিয়ে সালিশ-দরবার হয়। সেখানে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে সোহানের বিয়ে করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে দিন তারিখ ধার্যও ছিল। কিন্তু এক মাসেও বিয়ে না করায় কলেজছাত্রীর পরিবার থানায় গিয়ে গত বছরের ৫ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মামলা এফআইআর করে ধর্ষক সোহানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

জানা গেছে এক মাস কারাভোগের পর সোহান জামিনে এসে ফের মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করা শুরু করে। এতে কলেজছাত্রীর বাইরে বেরোনোই প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে সোহান সুযোগ বুঝে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

ঘটনা সর্ম্পকে কলেজ ছাত্রী জানান, মামলার পর জামিনে এসেই সোহান তাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। লোকলজ্জার ভয়ে এবার আর কাউকে জানানো হয়নি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সোহান তার কক্ষে আসলে ভালো ব্যবহার করে বসিয়ে রেখে পরিবারকে কৌশলে জানায় মেয়েটি। পরে গভীররাতে তাকে আটকে বেঁধে রাখা হয়।

এ বিষয়ে কলেজছাত্রীর চাচা জানান, মামলার পর অল্প দিনের মধ্যে সে জামিনে এসে ফের অত্যাচার শুরু করে। কোনো ভয়-লজ্জার তোয়াক্কা করেনি। এ অবস্থায় আটকের পর তার পরিবারকে জানানো হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কার্য সম্পন্ন হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *