সিরাজুল ইসলাম রতন, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, গাইবান্ধা : চুরি-প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের মামলার পর বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আতিক বাবুর বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮এপ্রিল) দুপুরে জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মরুয়াদহ গ্রামের শরিফা বেগম বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৭০ তারিখ-২৮.০৪.২০।এর আগে ২২ এপ্রিল রাতে টাকা চুরির অভিযোগে এই আতিক বাবুর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন স্বাধীন সংবাদের প্রতিনিধি রবিন সেন। যাহার মামলা নং-৫৫। পরে আবারো ২৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে এই আতিক বাবুর বিরুদ্ধেই চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারনা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর অন্ধ হাফেজ গোলজার রহমান। যাহার মামলা নং-৬১।
উভয় মামলায় বাংলাভিশন প্রতিনিধি আতিক বাবুকে একমাত্র আসামী করা হয়।এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী আতিকুর রহমান আতিক বাবুর সাথে ওই উপজেলার সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিকের মাধ্যমে ২০১৪ সালে পরিচয় হয় বাদী শরিফা বেগমের।পরবর্তীতে কথোপকথনের মাধ্যমে পুলিশে চাকুরী নিয়ে দিতে পারবে মর্মে বাদীর নিকট হতে প্রার্থী চায় আসামী আতিক বাবু।পরে বাদী শরিফা বেগমের ভাতিজার পুলিশে চাকুরী নিশ্চিত নিয়ে দেওয়ার শর্তে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয়।যার মধ্যে ১৫ সালের ২ জানুয়ারী আসামীর হকার্স মার্কেট অফিসে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে হাতিয়ে নেয় আসামী আতিক বাবু। অবশিষ্ট টাকা চাকুরী হওয়ার পরে নিবে বলে জানায়। পরে আসামী বাদীর ভাতিজার পুলিশে চাকুরী নিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে বাদী, আসামী আতিক বাবুর কাছে একাধিকবার টাকা ফেরত চায়।কিন্তু আসামী দেই দিচ্ছি বলে তালবাহানা করতে থাকে।পরে আসামীর বাড়িতে গেলে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানালে, আসামী বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং হুমকি প্রদর্শন করলে, ১৯ সালের ২৫ জুন বাদী জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে অত্র থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। যাহার জিডি নম্বর-১১৮৫।পরে আসামী জিডির বিষয়টি জানতে পারলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে জানে শেষ করবে মর্মে হত্যার হুমকি দেয়।বাংলাভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান আতিক বাবু সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম হিরুর ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে শহরের পশ্চিমপাড়ায় বসবাস করছেন।
এবিষয়ে, গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোঃ শাহরিয়ার আতিক বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে চুরি, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক আরো দুইটি মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।