বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

‘ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে’, জয়ার এই উপলব্ধি যাকে নিয়ে

ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ১০ পাঠক
প্রকাশকাল বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকা-কলকাতা দুই বাংলার সিনেমায় অবাধে কাজ করে চলা অভিনেত্রী জয়া আহসানের ক্যারিয়ারের পাল্লা ভারি এখন পর্যন্ত কলকাতার দিকে। কলকাতায় এক দশকের বেশি জয়াকে পর্দায় পাওয়া গেছে সেখানকার বহু নায়কের সঙ্গে।

তবে সেসব সহশিল্পীদের মধ্যে আবীর চট্টোপাধ্যায়কে নম্বরে এগিয়ে রাখতে চান জয়া।।

পরিচালক-অভিনেতা অরিন্দম শীলের হাত ধরে ২০১০ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে জয়ার কেবল কলকাতা যাত্রাই শুরু হয়নি। চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারও খুলে যায় ওই কাজটির মাধ্যমে। ওই সিনেমায় জয়ার বিপরীতে দুই নায়কের একজন ছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।

সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’কে জয়া বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে আমাদের কাজ করতে হয়। আবীর হল তাদের মধ্যে অন্যতম। একজন অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হল ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবীর।”

এছাড়া কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় ‘বিসর্জন’, ‘বিজয়া’, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’সহ আরো অনেক সিনেমায় আবীর-জয়া জুটি প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আবীরকে নিয়ে জয়া বলেন, “পর্দায় তো আমাদের একসঙ্গে অনেক রোমান্টিক কাজ করতে হয়, ও আমার এতটাই ভালো বন্ধু, এত দুষ্টুমি আর মজার সম্পর্ক ওর সঙ্গে যে কাজ নিয়ে ভাবতেই হয় না। সবটাই খুব সহজ হয়ে যায়।

“আমি কখনও দেখিনি ও কোনও আড্ডায় বা কখনও কোথাও কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এরকম কথা আমি আবীরকে কখনও বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে। একটু বেশিই সমালোচনাহীন মানুষ। যদিও মাঝেমধ্যেই একটু টকঝাল গল্প হলে সকলেরই খুব ভালোলাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, নয় সেটা কেউ খুঁজে পায় না। অথবা আমরা দেখতে পাই না।”

কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছেন জয়া-আবীর অভিনীত ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমাটি।

ওই কাজটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন জয়া।

“পুতুল নাচের ইতিকথার জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবীর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সে যা হলো। আমাদের দিকে আর কে তাকাবে, আমাদের কথা কারও তখন কান দিয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সবাই শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মুগ্ধ নয়নে সবাই আবীরকে দেখছে। আমিও দেখছিলাম যে আহা কী অপূর্ব এই দৃশ্য। ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল। এই ভক্তদের সামলে রাখা এবং সবটা এমন যত্নে রাখাও খুব কঠিন কাজ। আবীর খুব সুন্দর মেনটেন করে।”

জয়া মনে করেন আবীরের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক। কারণ সংসার এবং কর্মজীবন পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়ার মত কঠিন কাজটি আবীর করছেন খুব সুন্দরভাবে।

“খুব সুন্দরভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সংসার জীবনটা মেনটেন করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও ব্যালান্স করে।

“আসলে ওর মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ওর অনুভূতি খুব মন থেকেই আসে সেটা যার জন্যই হোক। এবং এই বিষয়টা কিন্তু ফেইক নয়। আমি চাইব ও যেন সারাজীবন এমনই থাকে। আমরা যা করতে পারিনি বা পারি না সেটাই ও অতি যত্নে করে দেখায়। কত অবলীলায় আমরা বলে ফেলি কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন, ও সেটা ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে বার বার।”

চলতি বছরে জয়ার বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে ‘তাণ্ডব’, ‘উৎসব’,‘ফেরেশতে’এবং ‘জয়া আর শারমিন’।

আর কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমা।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর