শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন

বেশি ব্যায়ামে মানসিক রোগ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ৬০ পাঠক
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন

স্বাস্থ্য ডেস্ক- বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:

শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। এতে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তাই দিন কয়েক খাওয়ার অনিয়ম বা শরীর চর্চায় ঢিলেমি দিলে ব্যায়ামে সময় বাড়িয়ে দেন অনেকে। কিন্তু কোনো কিছুই বেশি বেশি ভালো নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৯০ মিনিটের বেশি জিম, সাঁতার বা যে কোনো শারীরিক কসরত করলে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।

সম্প্রতি আমেরিকার ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এমনটাই দাবি করেছেন। দেশটির প্রায় ৫০টি রাজ্যের বাসিন্দাদের ওপর গবেষণা চালান তারা। পরীক্ষার জন্য বেছে নেন এমন কিছু মানুষকে, যারা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের শারীরিক কসরত বা অত্যধিক সাংসারিক কাজকর্ম করেন।

১২ লাখ পূর্ণবয়স্ক মানুষের ওপর এ গবেষণা চালান তারা। এতে দেখা যায়, যারা অত্যধিক পরিমাণে খেলাধুলা করেছেন তাদের মানসিক সমস্যা বেড়েছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ। জিমে যেতে সিদ্ধহস্তদের সমস্যা বাড়ে ২০ দশমিক ১ শতাংশ। এমনকি যারা অতিরিক্ত বাড়ির কাজকর্ম করেছেন তাদের মধ্যেও ১০ শতাংশই মানসিক অসুখের শিকার হয়েছেন।

শুধু তাই-ই নয়, যে সব মানুষ আগে থেকেই হতাশায় ভুগতেন, এমন একটি শ্রেণিকেও রাখা হয়েছিল এই পরীক্ষায়। দেখা গিয়েছে তাদের মধ্যে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষেরই মানসিক সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক অ্যাডাম চেকউর্ড জানান, আগে মনে করা হত, যত বেশি শরীরচর্চা করবেন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ততই ভালো থাকবে। কিন্তু এ গবেষণায় দেখা গিয়েছে আসল ঘটনা মোটেও তা নয়। দিনের পর দিন এই গবেষণায় আমরা প্রমাণ পেয়েছি দিনে ৯০ মিনিটের বেশি শরীরচর্চা করলে তা সরাসরি প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায় বলেন, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আর তা শারীরিক কসরতের মতো বিষয় হলে তো আরও সতর্ক থাকা দরকার। এমনিতেই পরিশ্রম কম করলে মন শান্ত থাকে। সেখানে অতিরিক্ত শারীরিক কসরতের মতো কাজ এমনিতেই মনকে বিক্ষিপ্ত করে।

তবে নির্দিষ্ট দেশের গবেষণার ওপর ভর করে চূড়ান্ত মত দিতে রাজি নন মনোবিদ জয়রঞ্জন রাম। তার মতে, শারীরিক কসরতের বাড়াবাড়ি থেকে কেবল মানসিক অসুখই নয়, অন্য শারীরিক অসুখের শিকারও হতে পারেন।

তাহলে বুঝতেই পারছেন দিনে ৯০ মিনিটের বেশি ব্যায়াম নয়। আর অবশ্য ব্যায়াম বা ডায়েট চার্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। নইলে সুখের চেয়ে অসুখই হবে বেশি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *