বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে কয়েকটি গ্রাম

শাহজাহান হেলাল, ফরিদপুর । / ৩২ পাঠক
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে গড়াই ও মধুমতির নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ভাঙ্গনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে সালামতপুর বর্তমান রঊফ নগর গ্রামের নদীর পাশ দিয়ে মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে।

অনেক ঘর-বাড়ী নদী গর্ভে চলে গেছে । বর্তমান বসতবাড়ী, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং যাদুঘর চরম ঝুঁকিতে রয়েছ। দুই-এক বছরের মধ্যে মানুষের বসতঘর এর মধ্যে অনেকে ঘরবাড়ী ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছে আবার যাদের বাড়ি করার মত বাড়তি জমি নেই তারা দিশেহারা হযে পড়েছে ন। এ ব্যপারে নদীর পাশে বসবাসকারী মো. বাদশা, জাকির, কালাম সহ অনেকে বলেন বিগত ১০ বছরের চেয়ে এবার নদীর ভাঙ্গন বেশী।

যে ভাবে নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে মনে হয় গ্রামের অনেকের ঘরবাড়ী ও যাদুঘর রক্ষা করা যাবে না। নদীতে চলে যাবে। তাই নদীর বাধ অতিব জরুরী। এ ছাড়া রাজধরপুর, ফুলবাড়ী, গন্ধখালী, দয়ারামপুর, চরগয়েশপুর, চরপুখুরিয়া গ্রাম ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করছে। ফলে কামারখালী কলাবাগান,দয়ারামপুর, সালামতপুর, চরকসুন্দি, জারজান নগর, গয়েশপুর, বকশিপুর, আড়পাড়া, চর বহালবাড়িয়ার গ্রামের মানুষ ও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানি বন্দী হয়ে আছে। ফলে নদীর পানি তীব্র বৃদ্ধির কারনে কামারখালী ইউনিয়নে অনেক গ্রামের কয়েকশত পরিবারের রোপা ধান সহ অন্যান্য ফসলের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এ ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস (বাবু) বলেন আমার ইউনিয়ন নদী ভাঙ্গন ইউনিয়ন। এবার ইউনিয়নে নদীর ভাঙ্গন ও পানির বৃদ্ধি বিগত বছরের চেয়ে বেশী। আমি আমার ইউনিয়নের মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা মনোয়ার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. সোহরাব হোসেন সহ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তিনি আরও বলেন নদী বাধ না দিলে গ্রাম সহ যাদুঘর ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।

বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ এর ইউনিয়ন, বাড়ী, সড়ক, যাদুঘর এবং ইউনিয়নের অন্যান্য বসতিদের কথা চিন্তা করে সরকারের নদী বাধের ব্যবস্থা করার জোর দাবী জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *