শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
রাজধানীর কোতয়ালী থানায় দায়ের করা জালিয়াতির মামলায় অ্যাডভোকেট শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আবু সাঈদ চৌধুরী ওই আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মাহমুদুর রহমান রিমান্ডের বিষয়টি জানান।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) হোসেনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার এলাকা থেকে শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ মামলায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত আসামি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামাতো ভাই বড় সোহাগের হয়ে যাবজ্জীবন কারাভোগকারী মো. হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন বড় সোহাগ। ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি। ২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরের বছর হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সম্প্রতি প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
১ ফেব্রুয়ারি সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, হোসেন ও দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসমর্পন করা আসামি প্রকৃত আসামি নয় মর্মে জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নথি উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে এসব সৃজন করে তা সঠিক মর্মে দাবি করেন।
মিথ্যা ও ভুয়া ব্যক্তিকে প্রকৃত ব্যক্তি সাজিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে আদালত আত্মসমর্পনণ করিয়ে একজন অপর জনের নামে সাজা ভোগ করিয়ে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।