ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে দলটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অন্তর্ঘাতমূলক পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের’ অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

পরিকল্পিতভাবে সমাজে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। হীন রাজনীতিক উদ্দেশ্য সাধনে হিংস্র সন্ত্রাসীরা সক্রিয় রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে বিজয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল, তাকে বাধাগ্রস্ত করতেই দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।

নাশকতাকারীদের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। গণতন্ত্রের পথচলা রুদ্ধ করা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। তাই এসব নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের কঠোর হাতে দমন ছাড়া বিকল্প নেই।

গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করার অপচেষ্টায় আরও উন্মত্ত হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলাকারী দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে এবং গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে।’