সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সফলতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংস্কার: নাহিদ রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি ও সমাধান মিয়ানমারে: প্রধান উপদেষ্টা দেশ সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট দায়িত্ব নয়, এটা প্রকৃতির মতোই চলবে : ড. আব্দুল মঈন খান ডা. নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড বারনামাকে ড. ইউনূস জনগণ কী চায়, সেটাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করি নির্বাচনে অংশ নেব না, সংস্কারই অগ্রাধিকার: ড. ইউনূস অতিরিক্ত আইজি হলেন পুলিশের ৭ কর্মকর্তা নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপেদষ্টা

গুম-খুনের দ্রুত বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ২০৩ পাঠক
প্রকাশকাল মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়সহ আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা এবং শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘গণঅভ‍্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব দাবি জানান তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট আমাদের মাঝে এক বছর পর ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন, গ্রেপ্তার, গুম-খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা, আহতদের সমবেদনা। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে।’

তিনি বলেন, ‘গুম-খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকটি পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার, তা আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে যেকোনো মূল্যে।’

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করি। বাস্তবায়ন করি কোটি মানুষের বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নকে।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর