শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

শুধুই স্বাস্থ্য সেবা নয় “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” অসহায়দের সহায়

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম / ১৪০ পাঠক
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

এ কে এম মোরশেদ মানিক, বর্তমানকন্ঠ ডটকম : বিরামপুরে স্বাস্থ্য সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বিরল ব্যক্তিত্ব ডা.শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল । যিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে চিকিৎসা সেবা দিতে নিজেকে সব সময় প্রস্তুক রেখেছেন। এছাড়াও “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” নামে ফেইজবুক পেজের মাধ্যমে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করে অসহায়দের সহায়তা দিয়েই চলছেন। এই গ্রুপের এডমিনের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী।

কোনো অভিযোগ নেই ,যতক্ষন প্রাণ আছে তক্ষন সেবা দিয়ে যাব , এমনটাই বলেছেন ডা.শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল। তিনি আরও বলেছেন শুধু স্বাস্থ্য সেবা দিয়েই করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয় তাই “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” এর মাধ্যমে সম্বনিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ডা. শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল ও আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী দুজনেরই পরিবার ইতিপূবে বিরামপুরের নানা সংকটে বিরামপুরবাসীর পাশে ছিলেন আন্তরিকতার সাথেই। ডা. হিমেলের পিতা এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ছিলেন বহুগুণে গুনান্নিত। জাতীয় পর্যায়ের  রাজনীতিক (কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ- সভাপতি, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক) ছাড়াও তিনি ছিলেন বহু কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও  পৃষ্টপোষক। তিনি নবাবগঞ্জ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ছিলেন প্রতিষ্ঠালগ্নে।বিরামপুর মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালিন জমিদাতা হয়ে একাডেমিক কাযক্রম পরিচালনায় তিনি শতভাগ ভুমিকা নিলেও এমপিও ভুক্তির পর একরকম বিতাড়িত করা হয় তাকে। কিন্তু আবদুস সালাম আমান বিরামপুরের উন্নয়ন কাজ থেকে নিজেকে কথনই গুটিয়ে রাখেননি।বিরামপুর ডিগ্রী কলেজের সিড়ি ঘর ও দোতলার উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে টিনসেড বিরামপুর থানা মসজিদকে দক্ষ টিম ওয়াকের মাধ্যমে থানা প্রশাসন ও দানশীল ব্যক্তি সমন্বয়ে আজ বহুতল ভবন।

ডা. হিমেলের পিতা শিক্ষানুরাগী ও বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সালাম আমান ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বৈকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না… রাজেউন)। ১ মার্চ রবিবার দুপুরে বিরামপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লী জানাজায় অংশ নেন এবং পাশ্ববতী থানা কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। পিতার মৃত্যু শোক কাবু করতে পারেননি ডা. হিমেলকে।

তিনি শোককে শক্তিতে পরিনত করেই করোনা যুদ্ধে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সম্মুখ যৌদ্ধার ভুমিকা পালনের পাশাপাশি অসায় মানুষদের আাথিক ও খাদ্য সহায়তা দিতে গ্রুপ ওয়ার্ক করছেন ফেইজবুক পেইজ “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” এর মাধ্যমে।

ফেইজবুক পেইজ “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” এর এডমিনের দায়িত্ব পালনকারী আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরীর পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আ: রাজ্জাক চৌধুরী বিরামপুরের সকল উন্নয়ন কাজে অংশ নিয়েছেন আন্তরিকতার সাথেই।

বিরামপুর থানার গোলঘরটি উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার মাইলফরক। যেটি বিরামপুর থানার তৎকালীন ওসি তাহারুল ইসলাম ও কমকতাদের প্রস্তাবে নিজ খরচে গড়ে দেন তিনি।

বীরমুক্তিযোদ্ধা আ: রাজ্জাকের স্ত্রী ও আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরীর মা বেবী সদ্য প্রয়াত। আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরীও মায়ের মৃত্যু শোককে শক্তিতে পরিনত করেই মানব সেবাই নিরলস ভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।

পিতৃহারা ডা.শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল ও মাতৃহারা আইটি বিশেষজ্ঞ রাহাত চৌধূরী যুগলের নেতৃত্বে “বিরামপুর করোনা পরিস্থিতি” সহায়তার ভুমিকা আমরা যেন অন্তরে ধারন করি অনন্তকাল । প্রয়াত এডভোকেট আবদুস সালাম আমানের প্রতি বিরামপুর মহিলা কলেজ যে
অবজ্ঞা করেছিল, আমরা যেন তেমনটা না করি।

লেখক : সাংবাদিক, সম্পাদক – পজিটিভ বিডি নিউজ ২৪ ডটকম.


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *