মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে : জিএম কাদের

নিউজ ডেস্ক | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম- / ৫৬ পাঠক
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

ত্রিভুজ নীতিতে দেশ চলছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘রাজনীতিক, আমলা আর ব্যবসায়ী এই তিন নীতিতে দেশ চলছে। রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় ব্যবসার নামে আমলাদের সহযোগিতায় দেশে লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে।’

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, দুর্নীতির কারণে অনেক ভালো ভালো উদ্যোগ সফল হচ্ছে না। আমরা অনেক দিন ধরে দাবি করছিলাম- রেশন কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেন। শুনছি- দলীয় লোক; যাদের টাকা-পয়সা আছে তাদের লিস্ট করে টিসিবির কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যা পাওয়া দরকার তারা তা পাচ্ছে না। দেশের জনগণ এগুলো থেকে মুক্তি চায়।

বিদ্যুতের জন্য সেচের জন্য পানি না দিতে পারলে খাদ্য সংকট হবে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনে সেচের জন্য কি হবে আমার তা জানা নেই। বিদ্যুতের অভাবে সেচের পানি না দিতে পারলে খাদ্য উৎপাদন কম হবে। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সেচের অভাবে প্রায় ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্য কম উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

জি এম কাদের বলেন, ‘সরকার বলছে এক থেকে দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ দেবে না। কিন্তু আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে জানতে পেরেছি সেখানে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।’

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, সরকার মানুষের পেটে তিনবার লাথি মেরেছে। একবার ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যান করে, দ্বিতীয় বেশি মূল্যে আমদানি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে, তৃতীয় তেলের দাম বাড়িয়ে। সরকারের পক্ষ থেকে এভাবেই মানুষের পেটে তিনবার লাথি মারা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালনি সেক্টকে দুর্নীতির আখড়া মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সব সেক্টরে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালনি সেক্টর হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া। সব সেক্টরে দুর্নীতি থাকলেও ওই দুই সেক্টর গোপন থাকায় সাধারণ মানুষ খুব একটা জানে না যে এগুলো দুর্নীতির আখড়া।

জি এম কাদের বলেন, আমি অয়েল সেক্টরে দীর্ঘদিন কাজ করেছিলাম। সেই হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই খাতে অনেক পরিচিত লোক থাকায় দুর্নীতির খবর পাই।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার আচার্য প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *