রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাজনৈতিক দলে সংকট, সমঝোতার চেষ্টায় সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে আ. লীগই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে : ড. আব্দুল মঈন খান নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপিতে ক্ষুব্ধ ভোটাররা চান দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী গাজার পথে মুক্তি পাওয়া ১৯৬৬ ফিলিস্তিনি তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্যের মূল্যায়নে বাংলাদেশের দুই বিমানবন্দর শীর্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: ১৫ সেনা কর্মকর্তা ‘হেফাজতে’ ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার বর্ণনা দিলেন শহিদুল আলম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

বারহাট্টায় অবৈধ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

নেত্রকোণা | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: / ২৩৬ পাঠক
প্রকাশকাল মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ও অনিয়মে পরিচালিত ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ জুন) বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে পাঁচটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে এবং বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অভিযানে অংশ নেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও বারহাট্টা থানা পুলিশের একটি টিম। হাসপাতাল রোড, অডিটোরিয়াম সংলগ্ন এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালানো হয়।

ইউএনও খবিরুল আহসান বলেন, “এই অভিযান শুধুমাত্র শাস্তিমূলক নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের নীতিগত পদক্ষেপ। লাইসেন্স ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা চালানো সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।”

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, বৈধ ডায়াগনোস্টিক সেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স, দক্ষ টেকনিশিয়ান, নিবন্ধিত চিকিৎসক ও আধুনিক সরঞ্জাম বাধ্যতামূলক। অভিযানে দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে ছিল না বৈধ রেজিস্ট্রেশন, অনেকের লাইসেন্স ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ এবং কিছু সেন্টারে অদক্ষ কর্মচারী ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রোগ নির্ণয়ের কাজ চলছিল।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে উপজেলার সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত তদারকির আওতায় আনা হবে এবং লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ সেবাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের অনেকেই প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদ সেবা পাবে।


এই ক্যাটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর