শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ছে সরকার। খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস এরইমধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার ফেসবুকে এক পোস্টে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে, কীভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন। সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে রেজিষ্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ করছি।’
প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পোস্টে সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ না করার অনুরোধ জানিয়ে লেখেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য। কারণ সকলেই ব্যস্ত এবং রুটগুলো নিরাপত্তার খাতিরে না জানানোই ভালো। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর মানবিক সংকট দেখা দেয়। এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির আবাসিক এলাকাও পরিণত হয়েছে যুদ্ধাঞ্চলে। রাজধানী খার্তুমের লাখ লাখ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির তীব্র সংকট।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী খার্তুম থেকে তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে, বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে শনিবার বাংলাদেশিদের সুদান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ক্ষমতার লড়াইয়ে চলমান সংঘাতের মধ্যে সুদান থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সরিয়ে নিলেও সেখানে মিশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটিতে বসবাসরত দেড় হাজারের মত বাংলাদেশির কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে সুদানের যুদ্ধরত দুই পক্ষ ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে পশ্চিমা, এশীয় ও আরব দেশগুলোর দৌড়ঝাঁপ শুরুর মধ্যে এই খবর পাওয় যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এই যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে বলে সুদান আর্মড ফোর্সেস (এসএএফ) জানিয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার বলেছেন, দুই দিনের লাগাতার আলোচনার পর এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও তা মানেনি সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।