বর্তমামকন্ঠ ডটকম : সৌদি আরবের রিয়াদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স এস এম আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। একাধারে তিনি তাঁর সকল সন্তানদের দেশপ্রেম ও মানবতার জন্য কাজ করা শিখিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট এক বর্বর হত্যাকাণ্ডে আমরা জাতির পিতা, তাঁর পরিবারবর্গসহ যাদের হারিয়েছি তা ইতিহাসে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা আশা করি জাতির পিতার পলাতক খুনিদের রায় অবিলম্বে কার্যকর করা সম্ভব হবে।
দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেয়ার আগে বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে মনের কথা বলার পরামর্শ প্রদান করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘’এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’’ যা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে ত্যাগ, সাহস ও ধৈর্য্যের প্রতীক বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গমাতার জীবনীর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে ১৫ আগস্ট নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়।
এর আগে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা শেখ কামালকে একজন নিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়ানুরাগি হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশে তরুণদের আদর্শের প্রতীক। এ সময় শেখ কামালের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।