শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সব ধরনের খরচের বাইরে একজন যাত্রী এবারও ১ হাজার ২০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। গত বছরও একই পরিমাণ অর্থ সঙ্গে নেয়ার সুযোগ ছিল। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতি হজযাত্রীর সৌদি পর্বের খরচ বাবদ এজেন্সিগুলো সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকা পাঠাবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার হজে যেতে খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। গত বছর যা ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা ছিল। সরকারি প্যাকেজের তুলনায় কিছু কম খরচ ধরে বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে আগ্রহীদের প্রত্যেকে ১ হাজার ২০০ ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে আগ্রহী যাত্রীপ্রতি সৌদি পর্বের সব ধরনের ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকার সমপরিমাণ ১৫ হাজার ৬২৩ সৌদি রিয়াল দেশটিতে পাঠাতে হবে।
সব ধরনের বিধিবিধান অনুসরণ এবং নামের তালিকা দাখিল করে নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এ অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া, সেখানে যাত্রায়াত, খাওয়াসহ অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য সৌদি পর্বের খরচ পাঠাতে হবে। এর বাইরে বিমান ভাড়া বাবদ যাত্রীপ্রতি এজেন্সিগুলোর খরচ রয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। আর প্রাক-নিবন্ধন বাবদ খরচ ৩১ হাজার টাকা।
কোন দেশ থেকে কতজন হজে যেতে পারবেন তা ঠিক করে দেয় সৌদি সরকার। এবার বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দেয়া হয়। তবে হজ খরচ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে ৭ দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। এ কারণে ৪ হাজার মতো কোটা ফেরত দিচ্ছে বাংলাদেশ।
করোনার কারণে এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিদেশ থেকে হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। গত বছর কোটার আলোকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পান। এর আগে ২০১৯ সালে হজে গিয়েছিলেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি।