চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুর প্রতিবেদন পুনঃতদন্তের দাবি ভক্তদের। তারা বলেন, ‘পিবিআইয়ের প্রতিবেদন ভুলে ভরা।’ ভক্ত সমাজের পক্ষ থেকে ২৮টি যুক্তিও তুলে ধরা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান সালমান ভক্তরা।
সালমান ভক্তদের পক্ষ থেকে সাজিদ হাসান কামাল বলেন, পিবিআই দেশের একটি বৃহৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের অনেক বড় বড় মামলায় তারা স্বচ্ছ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা থেকে সারা দেশে সালমান ভক্তগণ পিবিআইকে অনুরোধ জানাচ্ছে তারা যেন আবার তদন্ত করে। সালমান শাহ রাষ্ট্রের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তাই, রাষ্ট্রের কাছে আকুল আবেদন মামলাটি পুনরায় স্বচ্ছ পরিচালনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
আরেক ভক্ত সানজিদা আক্তার বলেন, ‘সালমান শাহ আমাদের একজন পছন্দের নায়ক। নায়ক হিসেবে নয় দেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তার প্রতিবেদনটি পুনঃ তদন্ত করা হোক। কারণ প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ।’
মানববন্ধনে পিবিআই কর্মকর্তা বনজ কুমার মজুমদার এর প্রতিবেদন ভুলে ভরা উল্লেখ করে ভক্ত সমাজের পক্ষ থেকে ২৮টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। যুক্তিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—
মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলেন না কেন আদালত; র্যাবের তদন্ত কেন স্থগিত করা হলো; চার বছরের তদন্তে ৪৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে কিন্তু তার মা নীলা চৌধুরী ও ভাই শাহরানের পুনরায় জবানবন্দি নিলো না কেন; যেখানে পিবিআই কর্মকর্তা বলতে পারেন না মামলাটি কত বছরের পুরনো সেখানে তাদের প্রতিবেদন কতটুকু সঠিক প্রশ্ন থেকে যায়; তদন্তে যাদেরকে সালমানের বন্ধু হিসেবে বলা হয়েছে তারা কেউই সালমান শাহ বন্ধু নয়, সবাই সামিরার আত্মীয়-স্বজন; মেডিকেল রিপোর্ট এর সাথে মিল রেখে কর্মকর্তা বলেন মারা যাওয়ার সময় সকাল সাতটা থেকে দশটা অথচ সামিরা বলেছিল দশটার পরেও সালমান শাহ এর সাথে তাদের কথা হয়েছে; সামিরা বলেছিল শাবনুর সে রাতে কল করেছিল, কিন্তু শাবনূর বলেছিল সে রাতে আমি কল দেই নি। তৎকালীন তদন্তে সালমান শাহর সিটিসেল নাম্বারের আউটগোয়িং কল লিস্ট তদন্ত করেছিল সিআইডি। সেটি সেখানে শাবনূরকে কল করার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি; সালমান শাহ বাবা হতে পারবেন না এমন কোন মেডিকেল রিপোর্ট আপনারা দেখে কিভাবে এই ভিত্তিহীন কথা বললেন; নীলা চৌধুরী ২১ দফার উত্তরগুলো কি আপনাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছিল; প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে কোন কথা বলার সুযোগ দেওয়া হলো না কেন।