ডেস্ক রিপোর্ট | বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারেই প্রথম কোন নির্বাচনে ডিসি-এসপিদের বিশেষ নির্দেশনা দিলো ইসি।
বুধবার (০৬ মার্চ) ইসির যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা -২) ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল ডিসি-এসপিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামি ১০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে সারাদেশে চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ধাপে নির্বাচন রমজানের পর জুন মাসের দিকে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং আইনানুগভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের কয়েকদিন পূর্ব হতে দু’তিন দিন পর পর্যন্ত পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন এবং এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করে যে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আজ তার সে জায়গাটি সমুন্নত রাখার জন্য মাঠ প্রশাসনের সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করা হলো।
এতে বলা হয়, নির্বাচনকালে সকল প্রার্থী যেন সমান সুযোগ ভোগ করতে পারেন, ভোটার সাধারণ নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং ভোটদান শেষে তারা নিরাপত্তাহীনতায় না থাকেন; সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত নিরপেক্ষভাবে প্রার্থীদের প্রচারণা আচরণ পর্যবেক্ষণ করবেন এবং যথাযথভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনে সবাইকে পরামর্শ দেবেন। যারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নির্দ্বিধায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নির্বাচনে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারি বা পরিবেশ বিনষ্টকারী যে কোন কর্মকান্ড বা কোন ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কমিশন নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে কারো অবহেলা প্রত্যাশা করে না। উক্তরূপ সিদ্ধান্তের আলোকে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে নির্বাচন কমিশন আশা করেন। তাদের কারণে নির্বাচনে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা অনিয়ম আইনবহির্ভূত ঘটনা ঘটলো যে কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। বর্ণিত অবস্থায় অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রভাবমুক্ত থাকার অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত আগামী ১০, ১৮, ২৪ ও ৩১ মার্চ চার ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হবে। এরমধ্যে প্রথম ধাপে ৮৬ উপজেলা এবং দ্বিতীয় ধাপে ১২৪ উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তৃতীয় ধাপে ১২৭ উপজেলা ও চতুর্থ ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোট হবে। পঞ্চম ধাপে বাকি উপজেলার ভোট হবে ১৮ জুন।