1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৫ মাস বন্ধ

বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩

নানা জটিলতায় প্রায় ৫ মাস ধরে চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে চায়না চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।

২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর পর ২০১২ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে যায় কেন্দ্রটি। প্রথমদিকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও গ্যাসনির্ভর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়মিতভাবে ১৬০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছিল। কিন্তু দিন দিন গ্যাসসহ বড় বড় যন্ত্রপাতি ও মেশিন অকেজো হয়ে যাওয়ার কারনে এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এদিকে বন্ধ হওয়ার প্রথম দিকে ৫০ মেগাওয়াট বন্ধ হলেও পরবর্তীতে ১০০ মেগাওয়াট এর মাধ্যমে উৎপাদন সচল করা হয়। চাঁদপুর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য মতে ৩ ডিসেম্বর ২০২২ সালে চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ৫০ মেগাওয়াট বন্ধ হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর বাকি ১০০ মেগাওয়াট বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত প্রকৌশলী) মোহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন, রক্ষাণাবেক্ষনের জন্য ৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়। মূল এখানে দুটি মেগাওয়াট। একটি ৫০, আরেকটি ১০০ মেগাওয়াট। ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি ৫০ দিন সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষনের পরে ৭ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ তারিখে চালু করার জন্য উদ্যোগ নেই। কিন্তু অনাকাঙ্খিত কারনে একটি গ্যাস বুষ্টার চালু না হওয়ায় আমরা আর চালু করতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, সে গ্যাস বুস্টারটি আমরা দেশিয় লোকলব এবং দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করি। আসলে এটি ঠিক করতে হলে বিদেশি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। এই রকম সুক্ষকাজে বিদেশি অভিজ্ঞদের প্রয়োজন। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। গ্যাস বুস্টারটি ঠিক করার জন্য তাদের সাথে চুক্তি করেছি। আগামী সেপ্টম্বর-অক্টোবর নাগাদ মালামাল দেশে আসবে, তখন আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করতে পারবো।

অন্যদিকে গত কয়েক দিনে বিদ্যুতের ধারাবাহিক লোডশেডিং-এর কারণে চাঁদপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের কারণে ভোগান্তির শিকার সাবই। বার বার লোডশেডিং হওয়ায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ঠে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের সাধারণ কাজকর্ম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির বাংলাদেশ এর তথ্যমতে, চাঁদপুর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৮৫ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদানুযায়ী সরবরাহ হচ্ছে ১৪৫ মেগাওয়াট। মূলত চাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। আর গ্রামের বিদ্যুৎ সরবার করে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২। এসবের মধ্যে চাঁদপুর গ্রিডে চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ৯০ মেগাওয়াট এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ৫৪ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বিদ্যুৎ এর চাহিদা রয়েছে। তবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংকট থাকায় চাঁদপুরে চাহিদার তুলনায় মাত্র ৫০% বিদ্যুৎ পাচ্ছে গ্রাহকরা। যার কারণে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হচ্ছে।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD