চান মিয়া ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম, বৃহস্পতিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮: ছাতকে ৪বছরের পুত্র সন্তান ও মালামালসহ প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে স্ত্রী আমিনা বেগম (২৮)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে। আজ পিতা তার পুত্রের নিরাপত্তা নিয়ে চরমভাবে শঙ্কিত হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, তাজপুর গ্রামের মৃত হারিছ আলীর পুত্র সিএনজি অটো-রিকশা চালক জিয়াউর রহমান প্রায় ১০বছর আগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার লালাবাজার বরাউট (মুল্লাবাড়ি) গ্রামের সমুজ আলীর মেয়ে আমিনা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ঔরসজাত লুৎফুর রহমান ছায়েম নামে ৪বছরের একসন্তান রয়েছে।
গত ২৯জানুয়ারি রাতে জিয়াউল হককে স্ত্রী আমিনা বেগম চায়ের সাথে ঘুমের ওষুধ সেবন করে ঘুম পাড়ায়। এ সূযোগে পুত্র লুৎফুর রহমান ছায়েমসহ ঘরের স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় ৪লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বরাউট গ্রামের ইদরিছ আলীর পুত্র পিকআপ চালক ফয়ছল আহমদের সাথে পালিয়ে যায়। ফয়ছল আহমদ ও আমিনা বেগমের বাড়ি একই গ্রামে থাকায় ছোট বেলা থেকেই তাদের দু’জনের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছে। ঘুমিয়ে পড়ার পর রাতেই পরকিয়া প্রেমিক ফয়ছল তার নিজস্ব পিকআপ (ঢাকা মেট্রো ১১-৭৫০৯) যোগে পুত্রসহ প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরআগে ১১জানুয়ারি রাতে স্বামী সিএনজি বন্ধ করে বাড়ি আসার পর স্ত্রী রাতের খাবার শেষে তাড়াহুড়ো করে ঘুমাতে বলে। পরদিন ১২জানুয়ারি ভোর বেলা তাকে ডেকে তোলে সিএনজি নিয়ে চলে যাবার কথা বলে। কিন্তু তার সন্দেহ হলে ঘরের বাহিরে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। একপর্যায়ে সে দেখতে পায় স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক ফয়ছল আহমদ নামের একযুবক ফটিক থেকে ঘরের বেড রুমে প্রবেশ করছে। পরে তাকে আটক করে লাঞ্চিত করা হয়। অবশেষে সে পুত্রসহ পরকিয়ার টানে ঘর ছাড়ে। ৩১জানুয়ারি ছাতক থানার এসআই অরুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এব্যাপারে জিয়াউর রহমান পুত্র লুৎফুর রহমান ছায়েমের নিরাপত্তা ও মালামাল লুঠের অভিযোগে ছাতক থানায় সাধারণ ডাইরি নং ১৮, তাং ০১০২২০১৮ইং রুজু করেন।