এ কে আজাদ, ব্যুরো প্রধান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, চাঁদপুর : বিভিন্ন গণমাধ্যমে চাঁদপুর জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানার বাসায় ত্রাণের চাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঘটনার সত্যতা না জেনে অনেকে বিভিন্নভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা তাঁর নিজের ফেসবুকে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে বণর্না করেছেন তা পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলো : যেহেতু চাঁদপুর শহরে লক ডাউন চলছে। মানুষজন বাসা থেকে বের হওয়া নিষেধ। আমি বিকেলে সিএসডি গোডাউন থেকে চাল উত্তোলন করি। আমি চালগুলো তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকের বাসায় বাসায় পৌছে দেয়ার জন্যে আমার বাসায় রাখি। কিন্তু পরক্ষণে যখন আমি বুঝলাম যে, এটি নিয়ে কথা উঠতে পারে তাই আমি স্ব উদ্যোগে সাথে সাথেই সব চাল উপজেলা পরিষদে পৌছে দেই। এখানে আমার বাসা হতে কেউ চাল উদ্ধার করেননি। আমি উপজেলা পরিষদ হতেই তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চাঁদপুর সদর মহোদয় অবহিত আছেন।
বিঃ দ্রঃ প্রথমত কথা হচ্ছে, উপজেলা পরিষদে গোডাউন না থাকার কারনে আমি বাধ্য হয়েই এই চালগুলি বাসায় আনতে হয়েছে তার কারন হচ্ছে আমার বাসার সামনে এবং বাসার ভিতরে চাল রাখার মতো যথেষ্ট পরিমাণে জায়গা ছিলো। এমন কি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যেনো মানুষের কাছে তালিকা অনুযায়ী দ্রুতসময়ে ত্রাণ সামগ্রী দিতে পারি। প্রকাশ করা আবশ্যক যে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী নিরবে নিভৃতে মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌছে দেয়ার জন্যই আমার উপরোক্ত চিন্তাভাবনাটি ছিলো ।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা চাঁদপুর শহরের তার নিজ বাসা থেকে গরিবদের বাড়ি বাড়ি চাল পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তিনি সে চাল উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। চালগুলো বর্তমানে সদর উপজেলা পরিষদের খাদ্য গুদামে রয়েছে। ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার চালগুলো চাঁদপুর সিএসডি গোডাউন থেকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শহরের ট্রাক রোড এলাকার পালপাড়াস্থ তার নিজ বাসায় এনে রাখেন। চালের পরিমাণ হচ্ছে ২ টন (৩০ কেজি ওজনের ৬৭ বস্তা)।
এ বিষয়ে সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা বলেন, চাল সদর উপজেলা পরিষদেই সংরক্ষিত আছে। গরিবদের মাঝে বিতরণের জন্যে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানার নামে দুই টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি সে চাল গত মঙ্গলবার গোডাউন থেকে উঠিয়ে তাঁর বাসায় নিয়ে রাখেন সেখান থেকে তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি এই চাল পৌঁছে দিবেন বলে। কিন্তু পরে যখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, তার বাসা থেকে চাল বিতরণ করতে গেলে তিনি সামাল দিতে পারবেন না, তখন তিনি সম্পূর্ণ চাল উপজেলা পরিষদে নিজ উদ্যোগে ফেরত পাঠান। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি এবং কোনো অভিযানও হয়নি।