নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম,বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৭: জাফরিন সাদিয়ার মূল ভাবনায় নির্মিত হলো নাটক- ‘মনজুড়ে’। এটি পরিচালনা করেছেন রাহাত মাহমুদ।
তাইমুর মাহমুদ শমীক ও জাফরিন সাদিয়ার যৌথ চিত্রনাট্যে নির্মিত এ নাটকের শুটিং সম্প্রতি গাজীপুরে শেষ হয়েছে।
কিশোর বয়সে সাগরের মা-বাবা দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার আশ্রয় জোটে গ্রামে মামার বাড়িতে। শহরের অবস্থাপন্ন পরিবারে অতি আদরযত্নে বেড়ে ওঠা সাগর অকালে এতিম হয়ে বুঝতে পারে জীবনের রুঢ় বাস্তবতা। গ্রামের সেই বাড়িতে মামার স্নেহ পেলেও পদে পদে মামীর রোষানলে পড়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সাগরের জীবন। তার জীবনের একমাত্র স্বস্তির আশ্রয় তখন মামাতো বোন কুসুমের সঙ্গ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছোটবেলার সেই ভালো লাগা প্রেমে পরিণত হয়। কুসুম এবং সাগরের কাছে আসার বিষয়টা খেয়াল করে কুসুমের মা। সাবধান করে সাগরের বাবাকে এবং সাগরকে কথার খোঁচায় আহত করে। তবু সাগর সংসারের পরিশ্রমের কাজগুলো হাসিমুখে করে যেতো দিনের পর দিন।
এদিকে, কুসুমের আজন্ম সাধ নায়িকা হওয়ার। সেই গ্রামে বড় এক ডিরেক্টর শুটিংয়ের জন্য টিম নিয়ে এলে কুসুম জানতে পারেন, দুই লাখ টাকা জোগাড় করলে তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ হয়ে যাবে। নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর কুসুম একসময় ন্যায়-নীতি ভুলে নিজের মায়ের গয়না চুরি করে সাগরের হাতে দিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
কুসুমের জোরাজুরিতেও সাগর রাজি হয় না। বরং সে গয়নাগুলো আলমারিতে ফেরত রেখে আসবার অনুরোধ করে। সাগর জানায়, গোপনে সে দিনের পর দিন ছোটখাটো পরিশ্রমের কাজ করে বেশ কিছু নগদ টাকা জমিয়ে রেখেছে কুসুমের স্বপ্ন পূরণের কথা মাথায় রেখে- এমনই গল্পে ‘মনজুড়ে’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে।
নাটকে তৌসিফ, তানজিন তিশা, তালহা খান, কাজী উজ্জল, শিল্পী সরকার অপু, সামির, হৃদিতা, হিন্দোল, সোহেল প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
নাটকটি নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘আশির দশকে রাজ্জাক-কবরী যে ধারার সিনেমায় অভিনয় করতেন, সেই ফ্লেভারে ‘মনজুড়ে’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। গল্পটা একেবারেই ক্ল্যাসিক এবং ফিল্মি গল্প। তাছাড়া নাটকে গ্রাম-শহরের সবকিছু ফিল্মি কায়দায় দেখানো হয়েছে। আমার কাছে কাজটি করে ভালো লেগেছে। আশা রাখি, দর্শকদেরও ভালো লাগবে।
শিগগিরই নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।