ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের উত্তর প্রদেশে বাদোহির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিধায়ক ত্রিপাঠীর ভাগ্নের নামে প্রথমে ওই মামলা করেন। পরে মামলায় তিনি বিধায়কের নামও যোগ করে দেন। খবর এনডিটিভি।
এ বিষয়ে বাদোহির পুলিশ সুপার রাম বদন সিং বলেন, “অভিযোগকারী নারী বলেছেন এমএলএ ত্রিপাঠীর ভাগ্নে সন্দ্বীপ তিওয়ারি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে তিনি এমএলএ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনেন। অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে তাদের নামে মামলা নিয়েছি। মামলাটির তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে।”
ওই নারী অভিযোগ করেন, এমএলএ’র ভাগ্নে সন্দ্বীপের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয় একটি ট্রেনে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা ছয় বছর তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যান সন্দ্বীপ। যখনই তিনি বিয়ের কথা বলতেন, তখনই সন্দ্বীপ তার ওপর নির্যাতন চালাত।
ওই নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে ওই নারীকে টানা ৩০ তিন একটি হোটেলে আটকে রেখেছিলেন সন্দ্বীপ। ওই সময় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী এবং তার পরিবারের সদস্য চন্দ্রভূষণ ত্রিপাঠী, দীপক তিওয়ারি, নিতীশ তিওয়ারি এবং প্রকাশ তিওয়ারি তাকে ধর্ষণ করেন।
তবে উত্তরপ্রদেশের বিজেপির এই বিধায়ক বলছেন, তার মানহানি করতেই ‘রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র’ করে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই অভিযোগের কোনোটাই যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি আছি।”
এ বিষয়ে নগর পুলিশের শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, “অভিযোগকারী বেশ কয়েকটি জায়গার কথা বলেছেন। তদন্তের জন্য আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব।”
এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে গত সপ্তাহেই বিজেপির আরেক বিধায়ক কুলদ্বীপ সিংকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।