1. azadkalam884@gmail.com : A K Azad : A K Azad
  2. bartamankantho@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  3. cmisagor@gmail.com : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম : বর্তমানকণ্ঠ ডটকম
  4. khandakarshahin@gmail.com : Khandaker Shahin : Khandaker Shahin
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
১১ বছরে বর্তমানকণ্ঠ-
১১ বছর পদার্পণ উপলক্ষে বর্তমানকণ্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা....

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল জনজীবন

মো. হুমায়ুন কবির, ময়মনসিংহ ।
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির মিছিলে অতি দরিদ্র, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। এখন পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে না পেরে তাদের খুবই নাকাল অবস্থা। সীমিত আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে না পেরে অসহায় জীবন যাপন করছেন।

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে গৌরীপুরবাসীর নাকাল অবস্থা। কোন কোন পণ্যের দাম ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ এক মাস আগে যা কিনতে ১০০ টাকা ব্যয় করতে হতো ক্রেতাদের। বর্তমানে সেই একই পরিমাণ ও মানের পণ্য কিনতে ১৪৬ টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের।

শুক্রবার সকালে সরজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চাল কাটারিভোগ ও নাজিরশাইল প্রতিকেজি ৬০-৬৫ টাকা, বিআর ২৮ টাকা, চাল ৫০-৫৫ টাকা, মোটা চাল- ৪৫-৫০ টাকা, খোলা আটা ৩৫-৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৫ টাকা।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজির দামেও অনেক বেশি। ফুলকপি প্রতিকেজি- ৯০-১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০-৭৫ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০-১৮০ টাকা, টমেটো ১৪০-১৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, শশা- ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ- ১২০টাকা, পেঁপে- ২০ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া-৩০-৪০ টাকা, করলা- ৮০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা, রসুন-১২০-১৪০ টাকা, কাঁচাকলা- ২৫-৩৫ টাকা, ঝিঙা- ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, লাউ ৩০-৫০টাকা। মুরগী ব্রয়লার ১৬০-১৬৫ টাকা, সোনালী ও কক ৩০০-৩২০ টাকা, গরুর মাংস- ৫৮০ টাকা ও খাসীর মাংস- ৮৮০-৯০০ টাকা। তেল প্রতি লিটার খোলা সোয়াবিন ১৫০ টাকা, বোতল ১৬০ টাকা, সরিষা খোলা- ২২০-২৫০ টাকা, বোতলজাত সরিষা-৩০০ টাকা। ডিম প্রতি ডজন- ৯৬-১০০ টাকা। মাছ প্রতিকেজি রুই- ২২০/২৫০ টাকা, কালবাউশ-২০০-২২০ টাকা, গুলশা- ৪০০-৫০০ টাকা, পাবদা-৩৫০-৪০০ টাকা, শিং ৩০০-৩২০ টাকা, বড় শৌল মাছ প্রতি কেজি- ৫৫০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা কেজি, কৈ মাছ- ১৪০-১৬০ টাকা।

পৌর শহরের মধ্যবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের আয় না বাড়লেও প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।

লামাপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে এখন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

সতিষা গ্রামের বাসিন্দা কালাম জানান, সংসারের আয় বাড়েনি অথচ জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। চাহিদা মতো এখন আর বাজার করা যায় না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের এখন না খেয়ে মরতে হবে।

গৌরীপুর কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লিপি জানান, উৎপাদিত পণ্য উপজেলার বাইরের বাজারে চলে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। শীতকালীন সবজি বাজারে আসলে দাম কমবে।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।




এই পাতার আরো খবর

















Bartaman Kantho © All rights reserved 2020 | Developed By

Privacy Policy

Theme Customized BY WooHostBD